আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল। — ফাইল চিত্র।
আদালতে স্বস্তি পেলেন না অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমার। আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল ‘নিগ্রহকাণ্ড’-এ শনিবারই বৈভবকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে বৈভবের আগাম জামিনের আবেদন জানানো হলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
শনিবার বৈভবের আগাম জামিনের পক্ষে সওয়াল করার সময় তাঁর আইনজীবী এন হরিহরণ একাধিক যুক্তি তুলে ধরেন। হরিহরণ দাবি করেন, পুরো ঘটনাটি সাজানো। তাঁর মক্কেলকে হেফাজতে নেওয়ার আগে কোনও রকম নোটিস দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে স্বাতীর অভিযোগ নিয়ে তিনি যুক্তি দেন যে, স্বাতীর অফিসে আসা এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাওয়া— পুরো বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল না স্বাতীর। তিনি নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছেন। নিরাপত্তারক্ষীরা সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও করেন।’’
আদালতে বৈভবের আইনজীবী বলেন, ‘‘স্বাতীকে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি আপের রাজ্যসভার সাংসদ। কেন তিনি বৈভবের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করছেন, তা জানি না। মনে হচ্ছে অন্য উদ্দেশ্য ছিল। নোটিস ছাড়াই তাঁকে থানায় তলব করা হয়েছিল। তা করা যায় না। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সুরক্ষা দেওয়া যেতে পারে।’’
আদালতে সওয়াল করার সময় আইনজীবী হরিহরণ আরও বলেন, ‘‘স্বাতী গত ১৩ মে এসএইচও-র কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে দিন কোনও অভিযোগ না করেই চলে এসেছিলেন। তার পর ১৬ মে অভিযোগ করেন। অর্থাৎ, তিনি আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন।’’ তবে আদালত বৈভবের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।