Interview Of Sharad Pawar

ভাইপো অজিতের সিদ্ধান্ত ‘ব্যক্তিগত’, কোনও সমস্যা নেই পরিবারে, দাবি কাকা শরদ পওয়ারের

একটি সাক্ষাৎকারে পওয়ার বলেন, “আমাদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। আমরা পরিবারে রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা করি না।” ভাইপো অজিতের সিদ্ধান্তকে একান্তই ‘ব্যক্তিগত’ বলে অভিহিত করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ১১:২২
Share:

তখন সুদিন। পাশাপাশি অজিত পওয়ার (বাঁ দিকে) এবং শরদ পওয়ার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

রাতারাতি কাকা আর ভাইপোর রাজনৈতিক পথ আলাদা হয়ে গেলেও, পওয়ার পরিবারে তার কোনও আঁচ পড়বে না। সোমবার এমনই দাবি করলেন এনসিপি প্রধান তথা বিদ্রোহী এনসিপি নেতা অজিতের কাকা শরদ পওয়ার। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পওয়ার বলেন, “আমাদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। আমরা পরিবারে রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা করি না।” ভাইপো অজিতের সিদ্ধান্তকে একান্তই ‘ব্যক্তিগত’ বলে অভিহিত করে এনসিপি প্রধান বলেন, “পরিবারের প্রত্যেকে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেন।”

Advertisement

পওয়ার এমন দাবি করলেও, বিজেপির মতো দলগুলি বার বার অভিযোগ করেছে যে, এনসিপি একটি পরিবারকেন্দ্রিক দল। সম্প্রতি দলের কার্যকরী সভাপতি পদে মেয়ে তথা বারামতীর এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেকে বসিয়েছেন পওয়ার। সে দিকে ইঙ্গিত করেও বিজেপি পওয়ারের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তুলেছেন। এ-ও ঠিক যে, পওয়ারের পরিবার এত কাল অবধি রাজনৈতিক ভাবে পৃথক হয়নি। ২০১৯ সালে অল্প কিছু সময়ের জন্য কাকাকে ছেড়ে বিজেপির হাত ধরে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেও পরে পওয়ারের ‘অনুরোধে’ই সিদ্ধান্ত বদলে ফিরে আসেন অজিত। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, শিবসেনা, এনসিপির জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন অজিত। ২০২২ সালের জুন মাসে বিরোধীদের জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পর অজিতই হন মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।

কিন্তু সম্প্রতি পরিবারের অভ্যন্তরেও ফাটল ধরছিল বলে এনসিপি সূত্রের খবর। দলে ক্রমশ ক্ষমতা বাড়ছিল পওয়ার-কন্যা সুলের। দলের সর্বভারতীয় পদে না থাকতে পারলেও মহারাষ্ট্রের রাজ্য সভাপতি হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন অজিত। ছাড়তে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতার পদ। কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছায় বিশেষ ‘আমল’ দেননি পওয়ার। পওয়ার পরিবারে রাজনীতি না ঢোকার কথা বললেও, রবিবারের পর তাঁর ‘অজিত দাদা’র সঙ্গে বোন সুপ্রিয়ার সম্পর্ক কেমন দাঁড়াবে, তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। সুপ্রিয়া অবশ্য বলেছেন, আমরা আশা করব, বিদ্রোহীরা আবার দলে ফিরে আসবেন। আমরা নতুন করে দলকে পুনর্গঠন করব।”

Advertisement

পওয়ার রবিবারই জানিয়েছিলেন, মল্লিকার্জুন খড়্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিরোধী নেতা তাঁকে ফোন করে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবার বিরোধী বৈঠক পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এনসিপি প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, ১৬ থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে বিরোধী দলগুলি বেঙ্গালুরুতে বসে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করবে। এর আগে পওয়ারই জানিয়েছিলেন, ১৩ জুলাই কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে বৈঠকে বসবেন বিরোধীরা।

শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার যে বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন— এমন জল্পনা দীর্ঘ দিন ধরেই ডালপালা মেলেছিল মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। গত কয়েক মাসে নানা ঘটনাপ্রবাহে এই জল্পনা অনেক জল-হাওয়া পেয়েছে। রবিবার আচমকা যে সেই জল্পনায় ইতি টেনে চমক দেবেন অজিত, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি মহা-রাজনীতি। রবিবার দুপুরে হঠাৎই নাটকীয় ভাবে অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান অজিত। তার পরই হাত মেলান শিন্ডে-বিজেপি সরকারের সঙ্গে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন পওয়ারের ভাইপো। তাঁর সঙ্গে আরও আট এনসিপি বিধায়ক শপথগ্রহণ করেন। তাঁরা হলেন ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অদিতি টাটকারে, ধনঞ্জয় মুন্ডে, হাসান মুশারিফ, ধরমরাজ বাবারাও আতরাম, সঞ্জয় বাঁসোদে এবং অনিল ভাইদাস পাতিল। অজিত দাবি করেন, এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৪৩ জনের সমর্থন রয়েছে তাঁর কাছে। বস্তুত, দলত্যাগ আইনের হাত থেকে রেহাই পেতে অজিতের প্রয়োজন ছিল ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন। অজিত এ-ও জানান, এনসিপিতে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement