Anti CAA Movement

CAA: এখনই নয় বাস্তবায়ন, সিএএ-র নিয়মনীতি স্থির করতে সংসদে সময় চাইল কেন্দ্র

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সিএএ আইন কার্যকরের ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। ২০২০-র ১০ জানুয়ারি এ বিষয়ে নোটিস জারি হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২১ ১৫:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর নিয়মনীতি পরিমার্জনের কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। বুধবার বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় এ কথা জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এ কথা জানিয়ে রাজ্যসভার কাছে সিএএ সংক্রান্ত নিয়মনীতি নির্ধারণ এবং বাস্তবায়নের জন্য ২০২২-এর ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছেন।

মঙ্গলবার সিএএ নিয়মনীতি নির্ধারণের জন্য লোকসভার কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে বাজেট অধিবেশনের সময় রাজ্যসভার তরফে এ বিষয়ে ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রকে। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।

Advertisement

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করে সিএএ আইন কার্যকরের ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। ২০২০-র ১০ জানুয়ারি তা কার্যকর করার নোটিস জারি হয়েছিল। তবে দেশজোড়া বিক্ষোভের মাঝে এ নিয়ে নিয়মনীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া তথা বাস্তবায়ন করা থেকে কার্যত পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নিয়মনীতি পরিবর্তনের বিষয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছিল।

সিএএ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা ‘সংখ্যালঘু’ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও আইনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি। সিএএ-বিরোধীদের দাবি, এই আইনে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হয়েছে। যা ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবনার পরিপন্থী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement