ফাইল চিত্র।
কলকাতার পুরভোটে আধাসেনা চেয়ে বিজেপি শেষ বেলায় সুপ্রিম কোর্টে হাজির হলেও বিশেষ লাভ হল না। শনিবার বিজেপির আর্জিতে জরুরি ভিত্তিতে কোনও শুনানি হয়নি। বিজেপির জন্য এক মাত্র আশার কথা হল, মামলা গৃহীত হয়েছে। রবিবার, না হলে আগামী সপ্তাহে বা তার পরে হলেও এর শুনানি হবে। তার মধ্যে কলকাতার পুরভোট মিটে গেলেও ভবিষ্যতে হাওড়া ও বাকি জেলার পুরসভাগুলির নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপি আগাম আধাসেনার দাবি জানিয়ে রাখবে।
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব আগেই কলকাতা পুরভোটে আধাসেনার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টর দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ বিজেপির মামলা গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য ছিল, তাঁদের পক্ষে কলকাতা পুরভোটে আধাসেনা নিয়োগের প্রয়োজন বোঝা সম্ভব নয়। কাজেই বিজেপিকে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে। বিজেপি হাই কোর্টে গেলেও প্রথমে এক বিচারপতির বেঞ্চ, তার পরে শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি খারিজ করে দেয়। এর পরে শুক্রবার রাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। রবিবার কলকাতায় পুরভোট বলে শনিবারই শুনানির জন্য আর্জি জানানো হয়। পিটিশনে বলা হয়, বিজেপির প্রার্থীদের চাপ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ত্রিপুরার পুরভোটে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল।
শনিবার বিজেপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের দ্বারস্থ হন। শনিবারই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানালেও সুরাহা কিন্তু মেলেনি। রেজিস্ট্রার মামলা গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। শনি-রবিবার সুপ্রিম কোর্টে ছুটি থাকে। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা শনিবার হায়দরাবাদে ছিলেন। জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হবে কি না, হলে কোন বিচারপতি মামলা শুনবেন, তা প্রধান বিচারপতিরই ঠিক করার কথা। বিজেপি নেতারা সারা দিন অপেক্ষা করলেও কোনও সাড়া মেলেনি। রবিবার পুরভোট। ভোটের দিন শুনানি হওয়া বা শুনানি হলেও কোনও লাভের আশা দেখছেন না বিজেপি নেতারা।
তবে বিজেপি শিবিরের ব্যাখ্যা, কলকাতার পুরভোট মিটে গেলেও ভবিষ্যতে হাওড়া-সহ ১১২টি পুরসভার নির্বাচন বাকি রয়েছে। অন্যান্য পুরসভার ভোটও হবে। সেখানে বিজেপি আগেভাগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলবে। সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের বড়দিন-নববর্ষের ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে। আইনজীবীদের ব্যাখ্যা, বিজেপির মামলা গৃহীত হয়েছে। সোমবার বা তার পরে শুনানি হলেও অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। তৃণমূল শিবিরের মতে, কলকাতা হাই কোর্টে বিজেপি কোনও নির্দিষ্ট গোলমাল বা হাঙ্গামার কথা উল্লেখ করতে পারেনি বলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। একই কারণে সুপ্রিম কোর্টও শনিবার জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনার প্রয়োজন বোধ করেনি।