গোয়ালে গরুই বেড়েছে নীতীশ কুমারের। —ফাইল চিত্র।
গরু-বাছুরে গোয়ালঘর ভরে উঠেছে ভালরকমই। অন্য সম্পত্তিই যা বাড়েনি। গত এক বছরের সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ প্রকাশ করে এমনটাই জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর রাজ্যের মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেব-নিকেশ নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আসছে বিহার সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বছরের হিসাব-নিকাশ প্রকাশ করেছে তারা। তাতে দেখা গিয়েছে, সম্পত্তি ও টাকা-পয়সার নিরিখে রাজ্যের বহু মন্ত্রীই নীতীশ কুমারের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
ওই হিসাব অনুযায়ী, টাকা-পয়সা মোটে বাড়েনি নীতীশ কুমারের। বরং গত বছর যেখানে তাঁর হাতে নগদ ৪২ হাজার টাকা ছিল, এ বছর তা ৩৮ হাজারে এসে ঠেকেছে। বেড়েছে শুরু তাঁর গোয়ালে গরু-বাছুরের সংখ্যা। গত বছর ৮টি গরু ও ৬টি বাছুর ছিল তাঁর। এ বছর তা বেড়ে ১০টি গরু এবং ৭টি বাছুর হয়েছে।
স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির নিরিখে রাজ্যের মন্ত্রীরা তো বটেই, ছেলে নিশান্তও নীতীশকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। দেখা গিয়েছে, নীতীশের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৬ লক্ষ টাকা। আর তাঁর মোট স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৪০ লক্ষ টাকার, যার মধ্যে রয়েছে দিল্লির দ্বারকায় একটি ফ্ল্যাটও।
সেই তুলনায় নিশান্ত বাবার চেয়ে ঢের এগিয়ে রয়েছেন। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা মায়ের মৃত্যুর পর, তাঁর সমস্ত সম্পত্তি পেলেও এখনও বাবার উপরই নির্ভরশীল নিশান্ত। অথচ তাঁর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। আর মোট স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদীও এগিয়ে রয়েছেন নীতীশের থেকে। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। পেশায় অধ্যাপিকা তাঁর স্ত্রী জেসি জর্জের নামে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ব্যাঙ্কে মোট ৮১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা রয়েছে সুশীল মোদীর। তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ৯৭ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা।
বিহারের মন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী হিসাবে নাম উঠে এসেছে সুরেশ শর্মার। তিনি ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি দেখিয়েছেন। এমনকি গত বছর নীতীশের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন যে সঞ্জয় ঝা, স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ ভাবে ২২ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। দিল্লির দু’টি শপিং মলে দোকানও রয়েছে তাঁর।
নীতিশের মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে দরিদ্র মন্ত্রী হিসাবে নীরজ কুমারের নাম উঠে এসেছে। মোট ৩৫ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর, যার মধ্যে বাজারে দেনাই রয়েছে ২৭ লক্ষ টাকার।