ছবি: পিটিআই।
রাজ্যগুলিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাস্তবায়িত করতেই হবে, ‘পালানোর কোনও পথ নেই’ বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিতর্ক-আন্দোলন। সেই আবহে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব গত কাল পাশ হয়েছে কেরল বিধানসভায়। বিজেপির অভিযোগ, সিএএ নিয়ে ওই প্রস্তাব পাশ করে সংসদ ও সংবিধানকে অপমান করা হয়েছে। যদিও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম পলিটবুরোর সদস্য পিনারাই বিজয়নের যুক্তি, বিধানসভাগুলির কিছু বিশেষ অধিকার রয়েছে। সেই মোতাবেক বিধানসভায় সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ, কেরল-সহ ন’টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যে সিএএ চালু করবেন না। অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির এই মনোভাবের প্রসঙ্গে রবিশঙ্কর বলেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির কারণে ওই রাজ্যগুলি সিএএ বাস্তবায়িত করতে চাইছে না।’’ তাঁর তির্যক মন্তব্য, ‘‘বিনীত ভাবে বলতে চাই, আইন দেখুন। সংবিধানে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব নিয়ে আইন তৈরির সম্পূর্ণ অধিকার সংসদের। ২৫৬ অনুচ্ছেদ বলছে, সংসদে তৈরি হওয়া আইন রাজ্যগুলি মেনে চলতে বাধ্য। সংসদের উভয় কক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং পাশ হয়েছে। এই আইন বাস্তবায়িত না-করে পালানোর পথ নেই।’’
আরও পড়ুন: হাসপাতালে নেই ব্রডব্যান্ডও, আংশিক চালু এসএমএস, হতাশ কাশ্মীর
কেরল সরকারকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেন, ‘‘যাঁরা সংবিধানের নামে শপথ নিচ্ছেন এবং তাকে ধ্বংস করছেন, তাঁরা দায়িত্বজ্ঞানহীন। এই কাজ শুধু সংবিধানের অপমান নয়। সংসদকেও অপমান করা।’’ জাভড়েকরের যুক্তি, সংসদে পাশ হওয়া কোনও আইন মানতে বাধ্য রাজ্যগুলি। এটা রাজ্যগুলির সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা।
বিজয়ন অবশ্য বিজেপির বক্তব্যকে গ্রাহ্য করছেন না। তাঁর মতে, সিএএ বাতিলের প্রস্তাব বিধানসভা পাশ করিয়ে তাঁরা কোনও অন্যায় করেননি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য বিধানসভাগুলির বিশেষ অধিকার রয়েছে। এখন আর সে সব কথা শোনা যায় না। বর্তমানে দেশে অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটছে, তার ফলে আমরা কোনও কিছুকেই খারিজ করে দিতে পারি না।’’ বিজয়নের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গ ও নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ জি ভি এল নরসিমা রাও।