দিল্লি হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।
‘অবমাননাকর’ কোনও কন্টেন্ট সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করা যাবে না। দেখানো যাবে না চ্যানেলেও। দুই টিভি চ্যানেল— টাইমস নাও এবং রিপাবলিক টিভি-র কর্তৃপক্ষকে সোমবার এমনই নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
সুশান্ত সিংহ রাজপুত এবং তার পরবর্তী ঘটনাক্রম নিয়ে সরব হয় বলিউড। গত অক্টোবরে সলমন, খান, আমির খান, শাহরুখ খানের মতো অভিনেতা পরিচালকদের মোট ৩৪টি প্রযোজনা সংস্থা একজোট হয়ে ‘রিপাবলিক টিভি’র এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী এবং টাইমস নাও-এর সঞ্চালক নবিকা কুমার-সহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন দিল্লি হাইকোর্টে।
অভিযোগ ছিল, ওই সাংবাদিকরা বলিউড এবং তার সঙ্গে জড়িত অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক এবং কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন, অবমাননাকর এবং অপমানজনক’ রিপোর্টিং এবং মন্তব্য করেছেন। তার পরই বলিউড একজোট হয়ে মামলা করে।
এ দিন সেই মামলার শুনানি ছিল। আদালত তখন জানায়, সংবাদমাধ্যম সমান্তরাল ভাবে ট্রায়াল চালাতে পারে না। আপনারা সম্প্রচারক…খবর দেখান। কিন্তু দেখা যাচ্ছে খবর থাকছে কম, মতামত থাকছে বেশি। উত্তপ্ত তর্কবিতর্কের মধ্যে আদালত প্রিন্সেস ডায়ানার ঘটনা তুলে ধরে জানায়, বলিউড তারকাদের গোপনীয়তা বজায় রাখার অধিকার আছে।
আরও পড়ুন: মাদক কাণ্ডে এ বার অর্জুন রামপালের বাড়িতে তল্লাশি এনসিবির
এর পরই আদালত প্রশ্ন তোলে, প্রিন্সেস ডায়ানার ক্ষেত্রে কী হয়েছিল মনে আছে? সংবাদমাধ্যমের হাত থেকে বাঁচতে গিয়েই গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এ ভাবে আপনারা চালিয়ে যেতে পারে না।