সিবিআই জেরা নিয়ে লালুর পাশেই দাঁড়াল নীতীশের দল। — ফাইল ছবি।
জমির বিনিময়ে চাকরি সংক্রান্ত ১৪ বছরের পুরনো মামলার তদন্ত নতুন করে শুরু করার পথে লালু, রাবড়িকে জেরা করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাকে কেন্দ্রের প্রতিহিংসা হিসাবে অভিহিত করছে বিহারে লালুর দলের অন্যতম শরিক নীতীশ কুমারের জেডিইউ। শুধু তা-ই নয়, সিবিআইকে তার রাজনৈতিক প্রভু বিজেপির চাপেই এমন করতে হচ্ছে বলেও তোপ দেগেছে জেডিইউ।
জেডিইউ সভাপতি রাজীবরঞ্জন সিংহ লালুকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন ক্ষমতাসীন বিজেপির দিকে। তিনি বলেন, ‘‘সাক্ষী, প্রমাণের অভাবে সিবিআই এর আগে দু’বার মামলাটি বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন, নীতীশ কুমার আরজেডির হাত ধরার পরেই মামলাগুলি আবার খোলা হচ্ছে। হঠাৎ করে সিবিআই সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়ে গেল!’’ লালন সিংহ নামে পরিচিত জেডিইউ সভাপতি আরও বলেন, ‘‘বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের শায়েস্তা করার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে। শুধু বিহারেই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার একই জিনিস অন্যান্য অবিজেপি শাসিত রাজ্যেও করছে।’’ ঘটনাচক্রে, ২০০৮ সালে এই লালনের অভিযোগের ভিত্তিতে আরজেডি নেতা লালু ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত আরম্ভ করে সিবিআই।
গত সোমবার পটনায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার পরে দিল্লিতে মেয়ে মিসার বাড়িতে গিয়ে আরজেডি প্রতিষ্ঠাতা লালুকেও একটানা ৫ ঘণ্টা জেরা করেন তদন্তকারীরা। বিদেশ থেকে অস্ত্রোপচার করিয়ে দেশে ফেরার পর থেকে লালু থাকছেন মেয়ে মিসার দিল্লির বাড়িতেই।
২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত কেন্দ্রে রেলমন্ত্রী থাকার সময় লালুপ্রসাদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে জলের দরে জমি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ। এই মামলায় যাদব দম্পতি ছাড়াও তাঁদের কন্যা মিসা এবং হেমার নাম রয়েছে নতুন নথিভুক্ত এফআইআরে। গত বছর জুলাইয়ে লালু ঘনিষ্ঠ ভোলা যাদবকেও গ্রেফতার করে সিবিআই।
সম্প্রতি দেশের ৮টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রধান চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেই চিঠির সারমর্ম হল, বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দার আশায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করছে, প্রধানমন্ত্রী তা রুখতে বার্তা দিন। সেই চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ স্বাক্ষর করেছেন ৮টি বিরোধী দলের নেতারা। তাতে রয়েছেন লালুপুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও।