মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব গত ১০ অগস্ট শপথ নিয়েছেন
বিহারের মহাগঠবন্ধন সরকারের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ মঙ্গলবার করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, জোটের বৃহত্তম শরিক হিসাবে সর্বাধিক সংখ্যক দফতর পেতে চলেছে লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। তাদের অন্তত ১৬ জন বিধায়ক মন্ত্রিসভায় আসতে চলেছেন। অন্য দিকে, নীতীশ ছাড়াও জেডিইউ-র তরফে ১১ জন মন্ত্রী হতে পারেন। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন কংগ্রেসের দু’জন বিধায়ক এবং জিতনরাম মাঝির দল হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার এক বিধায়ক। এক জন নির্দল বিধায়কও মন্ত্রিসভায় আসতে চলেছেন বলে দাবি সূত্রের। প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ ৩৬ জন মন্ত্রী নিয়ে গঠিত হয় বিহারের মন্ত্রিসভা।
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব গত ১০ অগস্ট শপথ নিয়েছেন। সূত্রের খবর, বাকিদের শপথ গ্রহণ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজভবনে। ওই সূত্রের দাবি, বিজেপির সঙ্গে জোট সরকারে জেডিইউ-এর তরফে যাঁরা মন্ত্রী হয়েছিলেন, তাঁদের এক জন বাদে বাকি সকলেই মহাগঠবন্ধন সরকারের মন্ত্রী হচ্ছেন।
আগের সরকারে রাজ্যে স্বরাষ্ট্র দফতর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশেরই হাতে ছিল। তবে এই মন্ত্রিসভায় কোন দলের হাতে কোন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব থাকবে, সে বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্রের দাবি, তেজস্বীর হাতে স্বাস্থ্য, অর্থ এবং সড়ক নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর যেতে পারে। ঘটনাচক্রে, আগের সরকারে এই তিনটি দফতরই বিজেপির হাতে ছিল।
প্রসঙ্গত, ২৪৩ আসনবিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় জেডি (ইউ)-র বিধায়ক সংখ্যা ৪৫, কংগ্রেসের ১৯, সিপিআই (এমএল) ১২, আর সিপিআই এবং সিপিএম উভয় দলেরই দু’জন করে বিধায়ক আছেন। মহাগঠবন্ধনের বৃহত্তম শরিক আরজেডি-র ৭৯ জন বিধায়ক রয়েছেন, হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার চার জন বিধায়ক রয়েছেন। নির্দল বিধায়ক রয়েছেন এক জন। পক্ষান্তরে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭।