নীতীশকে ঠেকাতে উদ্যোগী রাহুল

নীতীশের এই বিজেপি-ঝোঁক দেখেই তাঁকে ঠেকাতে সক্রিয় হচ্ছে কংগ্রেস। দলের সূত্রের মতে, ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মেটাতে নীতীশের সঙ্গে কথা বলবেন রাহুল গাঁধী। উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যাতে নীতীশ সঙ্গে থাকেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও পটনা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০৪:১৫
Share:

ফাইল চিত্র।

নীতীশ কুমার বিজেপির দিকে ঝুঁকতেই তাঁকে আটকাতে সক্রিয় হচ্ছে কংগ্রেস।

Advertisement

নোট বাতিল থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, বিরোধী জোটে থেকেও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী সমর্থন করেছেন নরেন্দ্র মোদীকেই। যা দেখে আজ বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার বিজেপির জন্য জানালা খুলে রাখলেন।’’ ঠিক যে ভাবে অতীতে বিজেপির সঙ্গে থেকেও বেরিয়ে যাওয়ার জানালা খুলে রাখতেন। আর বিজেপির ধারণা, বেনামি সম্পত্তি মামলায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট হলেই নীতীশ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন। অপেক্ষা কয়েক মাসের। নীতীশের এই বিজেপি-ঝোঁক দেখেই তাঁকে ঠেকাতে সক্রিয় হচ্ছে কংগ্রেস। দলের সূত্রের মতে, ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মেটাতে নীতীশের সঙ্গে কথা বলবেন রাহুল গাঁধী। উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যাতে নীতীশ সঙ্গে থাকেন। দিল্লিতে জেডিইউ-এর পক্ষ থেকে অবশ্য আজ ইঙ্গিত দেওয়া হয়, উপ-রাষ্ট্রপতি ভোটের জন্য সামনের সপ্তাহে বিরোধীদের বৈঠকে থাকবে দল। বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থনও করতে পারে।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চায় কোর্ট

Advertisement

কংগ্রেসের এক নেতার মতে, নীতীশ এখনও জোট ছাড়ার কথা বলেননি। বিজেপিকেও এমন বার্তা দেননি। প্রধানমন্ত্রীর দৌড়েও নেই বলে জানিয়েছেন। শুধুমাত্র নীতীশের প্রতি গুলাম নবি আজাদের আক্রমণাত্মক বক্তব্য উত্তাপ বাড়িয়েছে। সেটি বুঝেই দিল্লিতে সুর নরম করছেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু বিজেপি নেতাদের অনেকে মনে করছেন, আসলে বিজেপির সঙ্গে নীতীশের যে স্বাচ্ছন্দ্য ছিল, লালুর সঙ্গে সেটি নেই। এটি মনে করার কোনও কারণ নেই, শুধুমাত্র লালুকে বার্তা দেওয়ার জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, নোট বাতিল থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন দিতে হবে। নীতীশ কংগ্রেসের প্রার্থীর জন্যও অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। এসবই নীতীশের জোট ছাড়ার প্রস্তুতি।

তবে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ এখনও মনে করেন, নীতীশ খোলাখুলি না বললে তাঁর মন বোঝা দায়। হতে পারে, লালুকে দুর্বল করে নীতীশ নিজের শক্তি বাড়িয়ে জোটেই থেকে গেলেন। মুখে যতই ‘না’ বলুন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে তাঁর বাসনা রয়েছে ষোলো আনা। সেটি আর যাই হোক, নরেন্দ্র মোদী শিবিরে থেকে হবে না। একমাত্র বিরোধী শিবিরে থেকেই হতে পারে। তাই নীতীশ এখনও অঙ্ক কষছেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ জয়ের পরে বিহার দখলেরও স্বপ্ন আছে মোদী-অমিত শাহের মনে। তাই আপাতত দুর্নীতি নিয়ে লালুকে আরও দুর্বল করছে বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, সম্প্রতি লালুর প্রতিনিধি প্রেমচন্দ্র গুপ্ত কেন্দ্রের এক মন্ত্রীর কাছে দরবার করেন। যাতে লালু ও তাঁর পরিবারকে সাহায্য করা হয়। বিনিময়ে নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে লালু সক্রিয় হবেন বলেও প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু খালি হাতে বিদায় করা হয় তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement