কংগ্রেস এবং এনডিএ জোটের শরিকরা বলছেন লালুর প্রত্যাবর্তন বিহারের রাজনীতিতে বড় কোনও পরিবর্তন আনবে না। ফাইল চিত্র।
শত্রুর ক্ষমতা কতটা জানা থাকলে নাকি অর্ধেক যুদ্ধ জেতা হয়ে যায়। অকারণ হুঙ্কারে ঘাবড়ে না গিয়ে ঠান্ডা মাথায় যুদ্ধে মন দেওয়া যায়। বিহারের উপনির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের হাবেভাবে মনে হতেই পারে, সেই অর্ধেক যুদ্ধ তাঁর জেতা হয়ে গিয়েছে। কারণ তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর হুমকি উড়িয়ে ঠাট্টাচ্ছলেই নীতীশ বুঝিয়ে দিয়েছেন শত্রুপক্ষ কতটা কী করতে পারে তা বেশ জানা আছে তাঁর।
আগামী ৩০ অক্টোবর বিহারের দু’টি আসনে উপনির্বাচন। তার ঠিক আগেই বিহারের মূল বিরোধী রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব রাজ্যে ফিরেছেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর ঘরে ফেরা। তবে লালুকে পুরনো মেজাজেই দেখা গিয়েছে। হুঙ্কার দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ এবং বিহারে ক্ষমতাসীন এনডিএ-র বিসর্জনের ব্যবস্থা করবেন তিনি। যদিও নীতীশ সেই হুঙ্কারের পরোয়া করেননি। উল্টে বলেছেন, ‘‘লালু আর কী করবেন! বড়জোর আমাকে গুলি করে মারতে পারেন! তবে এর বেশি আর তিনি কিছু করে উঠতে পারবেন না।’’
বিহারের কুশেশ্বর আস্থান এবং তারাপুর বিধানসভার দুই বিধায়কের মৃত্যু হওয়ায় শনিবার ওই দুই আসনে উপনির্বাচন। তবে নামে দু’টি আসন হলেও এই দু’টি আসনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই দেখছে জেডিইউ এবং আরজেডি। কেন না বিহারের ২৪৩ আসনের বিধানসভায় এনডিএ জোটের আসন ১২৬ হলেও তার মধ্যে নীতীশের দলের আসন মাত্র ৪৩টি। অন্যদিকে লালুর আরজেডির নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ১১০টি আসন। এর আগে ওই দুই আসনে নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডের প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। উপনির্বাচনে আসন দু’টি হাতছাড়া হলে বিহারে শাসক জোট এবং বিরোধী জোটের ব্যবধান আরও কমবে। নীতীশ স্বাভাবিক ভাবেই তা হতে দিতে চান না। একইসঙ্গে লালুকে গুরুত্ব দিতেও চান না।
শনিবার ভোট। তার আগে বৃহস্পতিবারই প্রচার শেষ হবে দু’টি আসনে। বুধবার দলের হয়ে প্রচার করতে মুঙ্গের এবং দ্বারভাঙ্গায় যাওয়ার কথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার সাজাপ্রাপ্ত লালু। যদিও কংগ্রেস এবং এনডিএ জোটের শরিকরা বলছেন লালুর প্রত্যাবর্তন বিহারের রাজনীতিতে বড় কোনও পরিবর্তন আনবে না।