ছবি: সংগৃহীত।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে তরজা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোর পরে আজ সংযুক্ত জনতা দল থেকে বহিষ্কার করা হল দলের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা প্রশান্ত কিশোর ও পবন বর্মাকে। এর পরেই নীতীশকে খোঁচা দিয়ে প্রশান্তের টুইট, ‘‘ধন্যবাদ। বিহারের কুর্সি ধরে রাখার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা। ভগবান আপনার মঙ্গল করুন।’’
সিএএ, এনআরসি নিয়ে মতভেদ প্রকাশ্যে এসেছিল কিছু দিন আগেই। সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলকে জেডিইউ সমর্থন করায় দলের ভিতরে এবং সমাজ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছিলেন সহ সভাপতি, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর এবং সাধারণ সম্পাদক পবন বর্মা।
দিল্লির ভোটে জেডিইউ কী ভাবে বিজেপির জোট শরিক হচ্ছে, তা নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন পবন। এমনকি, সামনে নিয়ে এসেছিলেন নীতীশের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত আলোচনা। যেখানে বিজেপি সম্পর্কে নীতীশ তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন বলেই দাবি পবনের। এর পরেই বর্মা ও প্রশান্তকে দরজা দেখিয়ে দেন জেডিইউ সভাপতি নীতীশ। গত কালই তিনি বলেন, ‘‘প্রশান্ত দলে থাকলে থাকুন, না থাকলেও ঠিক আছে।’’ এ সঙ্গেই নীতীশের দাবি ছিল, অমিত শাহের অনুরোধে প্রশান্তকে দলে নিয়েছিলেন তিনি। জবাবে নীতীশকে মিথ্যেবাদী আখ্যা দেন প্রশান্ত।
আরও পড়ুন: ‘সহমত নই’ বলেও ভাষণ পাঠ আরিফের
দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে প্রকাশ্যে এই বিতর্কের মধ্যে আজ প্রশান্তদের দল থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। এর পরে, কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ দুই নেতা। কুর্সি ধরে রাখার কথা তুলে নীতীশকে কটাক্ষ করেছেন প্রশান্ত। বর্মা বলেছেন, ‘‘আমাকে মুক্ত করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে আর আপনার রাজনীতিকে সমর্থন করতে পারছিলাম না। আপনি যে ভাবেই হোক মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি বাঁচাতে ব্যস্ত। শুভেচ্ছা রইল।’’
২০১৫ সালে বিহারের ভোটে নীতীশের জয়ে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলেই অনেকে মনে করেন। এর পরে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও নেন তিনি। সূত্রের খবর, নাগরিকত্ব বিল, এনআরসি নিয়ে মতভেদের মধ্যে দলীয় বৈঠকেই ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন প্রশান্ত। তবে নীতীশই তখন তাঁকে বিরত করেন। কিন্তু সংঘাত প্রকাশ্যে আসার পরে বিচ্ছেদেই তা শেষ হল।