নীতীশ কুমারকে আক্রমণে বিজেপির।
দুপুরেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে নীতীশ ফিরে গিয়েছেন লালুর কাছে। বিকেলে যখন লালুর দুই পুত্র তেজস্বী ও তেজপ্রতাপকে দু’পাশে নিয়ে নীতীশ রাজভবনে ঢুকছেন, ঠিক সেই সময় নীতীশকে আক্রমণে গেল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, নীতীশ যা করেছেন তা বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই না।বিহার বিজেপির প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা দু’দল ২০২০-এর নির্বাচনে এনডিএর অংশ হিসেবে এক সঙ্গে ভোটে লড়েছিলাম। মানুষ এই জোটে ভরসা রেখে ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন। জেডিইউ আমাদের চেয়ে কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলাম। তার পর আজ যা হল, তাকে বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কী বলা যায়!’’
নীতীশ কুমার মঙ্গলবার সকালে জেডিইউয়ের বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে একটি দীর্ঘ বৈঠক করেন। তার পর রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে বিকেলে দেখা করার সময় চান। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। বিকেল ৪টেয় জেডিইউ এবং আরজেডি সমর্থকদের জয়ধ্বনির মধ্যে দিয়ে লালুপুত্রদের সঙ্গে নিয়ে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী পদ তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন। বিজেপি আর তাঁর জোটসঙ্গী নয়। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সে কথাই তিনি জানান। এবং দাবি করেন, জেডিইউয়ের সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবন থেকে বেরিয়ে নীতীশ বিভিন্ন অভিযোগ করেন। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, নীতীশের সবচেয়ে বড় অভিযোগ ভোটের সময় রামবিলাস পুত্রের কর্মকাণ্ড নিয়ে। যা নিয়ে এত দিনেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার সময় হয়নি বিজেপির। প্রসঙ্গত, ২০২০-এর ভোটে জেডিইউ যে আসনগুলোতে লড়াই করেছিল সেই আসনগুলোয় চিরাগ বিদ্রোহী বিজেপি প্রার্থীদের নিজের দলের প্রতীকে দাঁড় করিয়েছিলেন। যা সেই সময় জেডিইউয়ের বাড়া ভাতে ছাই হয়েছিল বলে দাবি নীতীশের দলের অনেকেরই। সময়মতো বিজেপিকে বিহারের সরকার থেকে সরিয়ে সেই প্রতিশোধই কি নীতীশ তুললেন, জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।