গ্রাফিক তিয়াসা দাস।
এক দিকে টাকার দামের রেকর্ড পতন, অন্য দিকে, অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি— এই দুই তিরে বেসামাল কেন্দ্র। দেশের এই বেসামাল অবস্থা কী ভাবে সামাল দেওয়া যায়, সেই ভাবনাচিন্তার বদলে সুদূর ভবিষ্যতে কী উপায় নিলে, কতটা তেলের দাম কমতে পারে, তার নিদান দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।
সোমবার ছত্তীসগঢ়ে আটটি প্রকল্পের একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেখানেই ডিজেল এবং পেট্রলের দাম কী উপায়ে কমানো যায়, তার বিস্তারিত বিবরণ দিলেন তিনি।
রায়পুর এবং দুর্গের মধ্যে ৪টি উড়ালপুল-সহ মোট ৮টি নির্মীয়মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় মন্ত্রী জানান, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যের শস্য দেশের অনেক উপকারে আসতে পারে। ভবিষ্যতে এই শস্য কী ভাবে সস্তা করে তুলবে পেট্রল-ডিজেলকে, তারও টিপস্ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কিছু একটা করুন! টাকার পতন নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বলল মোদী সরকার
কী ভাবে?
গডকড়ী বলেন, ‘‘পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক দেশে পাঁচটি ইথানল প্ল্যান্ট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন ফসলের খড়, আখ এবং বর্জ্য থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি হবে ওই সব প্ল্যান্টে। জৈব জ্বালানির ব্যবহার যত বাড়বে, পেট্রোল-ডিজেলের অপরিহার্যতা তত কমবে। ফলে এগুলোর দামও কমবে। তখন ডিজেলের দাম হবে প্রতি লিটারে ৫০ টাকা আর পেট্রলের ৫৫ টাকা।’’
তাঁর আরও সংযোজন, ছত্তীসগঢ়ে চাষাবাদ খুব ভাল হয়। ধান, গম, আখ এবং বিভিন্ন শস্যের উৎপাদন খুবই ভাল এখানে। ছত্তীসগঢ়ও তাই জৈব জ্বালানি উৎপাদনের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: তেল-সমস্যা সমাধানের দায় এড়িয়ে গেল কেন্দ্র
সম্প্রতি জাট্রোফা গাছের ফল দিয়ে ছত্তিসগঢ়ে জৈব জ্বালানি তৈরি করা হয়েছে। সেই জ্বালানি দিয়ে সফল ভাবে বিমানও ওড়ানো হয়েছে। ছত্তীসগঢ় ফসল কাজে লাগিয়ে জৈব জ্বালানি কেন্দ্র হয়ে উঠলে কৃষক, আদিবাসীদের কাজের সুযোগও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন গডকড়ী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিছু ভুল বলেননি। জৈব জ্বালানি পেট্রল-ডিজেলের বিকল্প হয়ে উঠতেই পারে। আর পেট্রল-ডিজেলের বিকল্প বাজারে এলে দামও কমবে, কিন্তু সে তো ভবিষ্যৎ। বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলা কী ভাবে করা সম্ভব, তা নিয়ে কোনও দিশা দেখাতে পারলেন না তো নিতিন গডকড়ী!