—প্রতীকী ছবি।
সোমবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোঝিকোড় জেলার কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। মৃত ছাত্রের নাম যোগেশ্বর নাথ।
পিটিআই সূত্রে খবর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি)-র ছাত্র ছিলেন যোগেশ্বর। কেরলের বাসিন্দা ছিলেন না তিনি। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ কলেজ ক্যাম্পাসের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে যান তিনি। হঠাৎ ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। আত্মহত্যার নেপথ্যকারণ কী, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২৮ এপ্রিল দুর্গাপুর এনআইটি-র দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত পড়ুয়ার নাম অর্পণ ঘোষ। তিনি মেকানিক্যালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, পরীক্ষায় সময় আইকার্ড নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিলেন অর্পণ। তাই তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। বার বার কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও সুরাহা হয়নি। দাবি, এর পরেই হস্টেলের ঘরে ফিরে দরজা বন্ধ করে দেন অর্পণ। পরে দুপুরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ঘর থেকে পাওয়া যায়।
পড়ুয়াদের আরও দাবি, ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার পরেও বেঁচে ছিলেন অর্পণ। কিন্তু সময় মতো অ্যাম্বুল্যান্স না আসায় এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের জোগান না থাকায় মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরেই কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, কলেজে পঠনপাঠনের কড়াকড়িতে পড়ুয়াদের মানসিক চাপ বাড়ছে। তার জেরেই এই ঘটনা।
পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে দুর্গাপুর এনআইটির ডিরেক্টর গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, দুর্গাপুর এনআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে চিকিৎসায় যে গাফিলতি হয়েছে, তার জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার।