পি প্রভাকর। ফাইল চিত্র।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় এই মহূর্তে আন্তরিক ভাবে কিছু করা দরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তা কঠোর ভাষায় স্মরণ করিয়ে দিলেন পি প্রভাকর। মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী হলেও মোদী সরকারের খামতিগুলি স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরতে বরাবরই দ্বিধাহীন প্রভাকর। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মোদী সরকারের কাজকর্মে তিনি কতটাই বিচলিত, তা তুলে ধরেছেন একটি নিবন্ধে। কার্যত যা মোদীর প্রতি একটি খোলা চিঠিরই মতো।
প্রভাকর লিখছেন, স্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি দেশে। হুঁশ নেই প্রধানমন্ত্রীর। সরকারি কর্তা ও পরিসংখ্যানবিদেরা তুলনা করে দেখাচ্ছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি আদৌ ততটা খারাপ নয়। মৃত্যুর সংখ্যা ঘোষণা করা হচ্ছে রোজ। আড়ালে থেকে যাচ্ছে প্রতিটি স্বজনহারা মানুষের বিপন্নতা, তাঁদের যন্ত্রণাকাতর মুখগুলি।
মোদীকে প্রভাকর মনে করিয়ে দিয়েছেন, সামনে বিশাল কাজ। করোনাভাইরাসকে রুখতে হলে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে প্রতিষেধকের রক্ষাকবচে আনতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা ও শিশুদের বাদ দিয়ে সংখ্যাটা ৭০ কোটি। যার অর্থ প্রয়োজন মোট ১৪০ কোটি ডোজ় প্রতিষেধক। সরকারের উপদেষ্টাদের মনে রাখতে হবে, পুরো দেশে কোভিড মুছতে না পারলে দেশের কোনও প্রান্তেই এটা বন্ধ হবে না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের দায়িত্বশীল পরামর্শগুলি নিয়ে যে রকম ‘অভব্য ও বদমেজাজি’ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মোদী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার উল্লেখ করে প্রভাকর লিখছেন, সরকার সঙ্কটের মাত্রা ই বুঝছে না। ভাইরাসের মোকাবিলার চেয়ে রাজনৈতিক ফায়দাতেই তাদের নজর বেশি। লকডাউন যে স্থায়ী সমাধান নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রভাকর লিখছেন, এতে খানিকটা সময় কেনা যেতে পারে রোগ মোকাবিলার পরিকাঠামো প্রস্তুত করার। কিন্তু অক্সিজেনের জোগান থেকে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা সব কিছুই অপ্রতুল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক পুঁজি, বাকপটুতা দিয়ে তাঁর অদক্ষতাকে ও সরকারের হৃদয়হীন আচরণকে আড়াল করছেন।