ছবি পিটিআই।
বাজেটের প্রস্তুতিতে সোমবার প্রথম বৈঠকেই শিল্পমহলের দাবি ছিল, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য আরও অনেক বেশি টাকা ঢালতে হবে পরিকাঠামোয়। তার পরে মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের আশ্বাস, আগামী বাজেটে পরিকাঠামোয় জোর দেওয়া হবে। ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির হাল ফেরাতে যে দাওয়াইয়ের কথা সম্প্রতি বার বার শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও।
বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের বার্ষিক অনুষ্ঠানে নির্মলা বলেন, “অবশ্যই পরিকাঠামোয় সরকারি লগ্নির গতি ধরে রাখব। কারণ, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার সেটিই একমাত্র উপায়।”
২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে পরিকাঠামোয় টাকা ঢালার কথা বললেও, তার টাকা কোথা থেকে আসবে, সেই প্রশ্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার শেয়ার বাজার, আর্থিক ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাজেটের প্রস্তুতি-বৈঠক করেছেন নির্মলা। সোমবার তাঁর কাছে শিল্পমহল দাবি জানিয়েছিল, লকডাউনের জেরে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায়, সরকার বিলগ্নিকরণে গতি বাড়াক।
অর্থমন্ত্রী এ দিন মেনেছেন, আগের বাজেটে বিলগ্নিকরণ থেকে ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের স্থির করা হলেও, এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০,৫০০ কোটি টাকা ঘরে এসেছে। আটকে বিলগ্নিকরণও। তবে আগামী কয়েক মাসে তার গতি বাড়বে বলে আশা তাঁর। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিলগ্নিকরণ হবে। ব্যাঙ্কে কর্পোরেট লগ্নির ফলেও তারা বাজার থেকে টাকা তুলতে পারবে। ভারত পেট্রোলিয়াম, এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে একাধিক সংস্থা উৎসাহ দেখিয়েছে বলেও তাঁর দাবি।
বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, টাকা ঢালার বদলে আদপে খরচে কাটছাঁট করছে সরকার। কিন্তু নির্মলার যুক্তি, খরচে যাতে কাটছাঁট করতে না-হয়, তার জন্য সরকার ৯.৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, জাতীয় পরিকাঠামো লগ্নি তহবিলের মাধ্যমেও পরিকাঠামোয় লগ্নি হচ্ছে। জাতীয় পরিকাঠামো প্রকল্পের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, সেই সমস্ত প্রকল্পেও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ হবে বলে মন্ত্রীর দাবি।