National news

নতুন করে মুকেশের রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

গত ছ’বছর ধরে আইনকে কাজে লাগিয়ে ফাঁসি পিছনোর যে ছক কষে আসছে দণ্ডিতরা, তা এ বার আর কাজে লাগল না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ১৮:২৬
Share:

নির্ভয়া দণ্ডিত মুকেশ সিংহ। -ফাইল চিত্র।

আপাতত ফাঁসি পিছোচ্ছে না নির্ভয়ার দণ্ডিতদের। গত ছ’বছর ধরে আইনকে কাজে লাগিয়ে ফাঁসি পিছনোর যে ছক কষে আসছে দণ্ডিতরা, তা এ বার আর কাজে লাগল না।

Advertisement

আগামী শুক্রবার ভোরে নির্ভয়ার চার দণ্ডিতের ফাঁসি আটকানোর জন্য আজ, সোমবার ফের মুকেশ নতুন করে রায় সংশোধনের আর্জি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই আর্জিই খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মুকেশের সমস্ত আইনি সংস্থান ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই নতুন করে তাঁর আর কোনও আর্জি শোনা হবে না।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি তাঁকে বলেন, “সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই জানাচ্ছি, আর কোনও উপায়ই অবশিষ্ট নেই। তুমি(মুকেশ সিংহ) প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছ। তা খারিজ হয়েছে। পরোয়ানা ইস্যু হয়েছে। রায় সংশোধনের আর্জিও খারিজ হয়েছে। এরপর আর কী বাকি থাকল?”

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে জারি মহামারী আইন, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

২০১২-র ডিসেম্বরে দিল্লির এক চলন্ত বাসে ডাক্তারির ছাত্রী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করেছিল ছ’জন। কয়েক দিন পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি। ছয অভিযুক্তই গ্রেফতার হয়। কিন্তু এক জন নাবালক থাকায় তিন বছর জুভেনাইল হোমে থাকার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। আর এক অপরাধী রাম সিংহ জেলেই আত্মহত্যা করে। বাকি চার অপরাধী মুকেশ সিংহ (৩২), অক্ষয় সিংহ (৩১), বিনয় শর্মা (২৬) এবং পবন গুপ্তকে (২৫) মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ন’মাসের মধ্যেই। কিন্ত গত ছ’বছর ধরে নানা আইনি জটিলতায় সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায়নি। তিন বার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেও ফাঁসি স্থগিত করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে ফের রক্তক্ষরণ, ২৭০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

এই চার জনের মধ্যে প্রথম তিন জনের সামনে আর কোনও আইনি পথ ছিল না। শুধু পবনের প্রাণভিক্ষার আর্জিতে রাষ্ট্রপতির প্রতিক্রিয়া জানানো বাকি ছিল। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি সেই আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পরে পটিয়ালা হাউস কোর্টে ফের মৃত্যু পরোয়ানা জারির আর্জি জানায় দিল্লি সরকার। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই ২০ মার্চ ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেন দায়রা আদালতের বিচারক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement