প্রতীকী ছবি।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় তামিলনাড়ুতে রোজ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণে রাশ টানতে এ বার রাত্রিকালীন কার্ফু জারির পথে হাঁটল দক্ষিণের এই রাজ্যও। ইতিমধ্যেই বিহার, রাজস্থান-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে শুরু হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফু। রবিবার তামিলনাড়ু সরকারের তরফে এই বিধিনিষেধ জারির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল শুরু হওয়া রাত্রিকালীন কার্ফুর পাশাপাশি প্রতি রবিবার সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে সে রাজ্য জুড়ে। এই রাত্রিকালীন কার্ফু রাত ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে সকাল ৪টে পর্যন্ত।
করোনা সংক্রমণ মাত্রাছাড়া পরিস্থিতির দিকে যেতে শুরু করার পরই পার্ক, জাদুঘর, সমুদ্র সৈকত, পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুতে। পাশাপাশি সে রাজ্যের দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
রাত্রিকালীন কার্ফু চলাকালীন ব্যক্তিগত এবং সরকারি পরিবহণ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ট্যাক্সি, অটোও চলবে না। তবে জরুরিকালীন পরিষেবা চালু থাকবে ওই সময়ে। রাত্রিকালীন কার্ফুর সময় পেশার কারণে বেরতে হলে প্রমাণপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক। রবিবার লকডাউনের দিন জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। এমনকি সব্জি, মাছ, সিনেমা হল, শপিং মল, সাধারণ দোকানপাট সব বন্ধ রাখতে হবে। হোটেল, রেস্তরাঁ খুলে রাখার সময়ও নির্দিষ্ট করা হয়েছে নির্দেশিকায়। বিয়েবাড়ি এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কোনও অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জড়ো হলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
গত বছর একটা সময় তামিলনাড়ুতে দৈনিক আক্রান্ত ছাড়িয়েছিল ১০ হাজারের গণ্ডি। যদিও এ বছরের শুরুতে তা কমে হয়েছিল ৫০০-র আশেপাশে। কিন্তু গত কয়েক দিনে অন্যান্য রাজ্যের মতো সেখানেও বাড়ছে আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় তা পৌঁছে গিয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সে রাজ্যে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই রাত্রিকালীন কার্ফু এবং রবিবার লকডাউন জারির ঘোষণা করা হল। আগামী ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের গণনার দিন সে রাজ্যে লকডাউন হবে না বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।