ফাইল ছবি
বিহারে জারি করা হল রাত্রিকালীন কার্ফু। নীতীশ কুমার ঘোষণা করলেন রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত এই কার্ফু কার্যকর থাকবে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় বিহারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ছুঁয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। এই পরিস্থিতিতে কড়া হচ্ছে প্রশাসন।
বিহার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ মে পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। একেবারে বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, প্রেক্ষাগৃহ, শপিং মল, পার্ক। বিকেল ৫টার পর বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে ধর্মীয় স্থান। যেখানে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেখানে আলাদা করে কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে রাখবে বিহার সরকার। প্রতিটি জেলায় তৈরি হবে কোয়রান্টিন সেন্টার। প্রধান শহর ও শহরতলির যে সমস্ত আক্রান্ত মানুষেরা বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে পারছেন না, তাঁরা এই সেন্টারে থাকতে পারবেন। বিয়ে, শ্রাদ্ধ ও অন্যান্য জমায়েতে লোক সংখ্যা ১০০-এর বেশি করা যাবে না। ভিড় হয় এমন স্থানে জেলা প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করারও নির্দেশ দিয়েছে বিহার সরকার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার বিষয়ে থাকবে ছাড়। ছাড় দেওয়া হয়েছে হোম ডেলিভারিতেও। পাশাপাশি নীতীশ কুমার ঘোষণা করেছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের একমাসের বেতন আগাম দেওয়া হবে।