NIA

অম্বানীর বাড়ির কাছে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধারের তদন্তভার গেল এনআইএ-র হাতে

২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশের বাড়ির কাছে যে জায়গায় জিলেটিন ভর্তি গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, সেই কারমাইকেল রোডও ঘুরে দেখবেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২১ ১৮:২৩
Share:

মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।

মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছে বিস্ফোরক ভর্তি পরিত্যক্ত গাড়ির ‘মালিকের রহস্যমৃত্যু’র পরেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিল বিজেপি। সে দাবির দিন দুয়েক পরেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে এই কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এনআইএ-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পিছনে ‘অন্য গন্ধ’ পাচ্ছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এ নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনাও করেছেন তিনি।

Advertisement

সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিস্ফোরক আইন এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর আওতায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এনআইএ-র হাতে এই মামলা তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী কোনও মামলার তদন্তভার জাতীয় সংস্থার হাতে ন্যস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘আপনারা জানেন এটিএস (মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা) ওই ঘটনার তদন্ত করছিল। ওই সংস্থাগুলি তো কারও সম্পত্তি নয়। সরকারে পরিবর্তন হলেও সিস্টেম একই থেকে যায়। ফলে সিস্টেমের উপর আস্থা রাখা উচিত।’’ এখানেই থামেননি উদ্ধব। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্র যদি এই মামলা নিজের হাতে তুলে নিতে চায়, তবে নিশ্চয় এর মধ্যে অন্য কিছু গোলমাল রয়েছে।’’

এনআইএ জানিয়েছে, এই কাণ্ডের তদন্তভার পাওয়ার পরই নতুন করে মামলা রুজু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেই প্রস্তুতি শেষ হলেই ঘটনাস্থলে যাবেন সংস্থার তদন্তকারীরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশের বাড়ি ‘অ্যান্টিলা’ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে যে জায়গায় ২০টি জিলেটিন ভর্তি গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, সেই কারমাইকেল রোডও ঘুরে দেখবেন তাঁরা। পাশাপাশি, ওই স্করপিও এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল)-টিও পরীক্ষা করে দেখবে এনআইএ। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত করছিল এটিএস। তবে ওই গাড়ির ‘মালিক’ মনসুখ হিরেনের রহস্যমৃত্যুও এনআইএ খতিয়ে দেখবে কি না, তা সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

Advertisement

৫ মার্চ, শুক্রবার মুম্বইয়ের অদূরে কালওয়া খাঁড়ি থেকে মনসুখের দেহ উদ্ধার হয়। প্রথম দিকে একে আত্মহত্যা বললেও পরে মুম্বই পুলিশ জানায়, মনসুখকে খুন করা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, শুক্রবার নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছিল।

মুকেশের বাড়ির কাছে উদ্ধার হওয়া স্করপিওটির মালিক মনসুখ কি না, তা নিয়েও পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করেছে মুম্বই পুলিশ এবং মহারাষ্ট্র সরকার। পুলিশ জানিয়েছিল, মনসুখই ওই গাড়ির মালিক। তবে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছিলেন, গাড়িটি আসলে স্যাম মুতেব নামে এক ব্যক্তির। গাড়ির যন্ত্রাংশের কারবারি মনসুখকে ওই স্করপিওর অন্দরসজ্জা করানোর জন্য দেওয়া হয়েছিল। তবে সে কাজের পারিশ্রমিক পাননি বলে মনসুখ স্করপিওটি নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। যদিও ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই গাড়িটি চুরি হয়ে যায় বলে দাবি তাঁর। পরের দিন সেই মর্মে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি। ওই ঘটনার ১ সপ্তাহ পর খাঁড়ি থেকে মনসুখের দেহ পাওয়া যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement