আনন্দ তেলতুম্বডে।
ভীমা কোরেগাঁও সংঘর্ষ ও মাওবাদী-যোগ মামলায় শিক্ষাবিদ আনন্দ তেলতুম্বডে এবং সমাজকর্মী গৌতম নওলাখাকে গ্রেফতার করল এনআইএ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে আজ তাঁরা দু’জনেই তদন্তকারী সংস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
নওলাখা ও তেলতুম্বডের অন্তর্বর্তী সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে এনআইএ-র কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এর পরেই আজ স্ত্রী রমা তেলতুম্বডে ও পরিবারের আর এক সদস্য, দলিত নেতা প্রকাশ অম্বেডকরকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ মুম্বইয়ের কম্বালা হিল এলাকায় এনআইএ দফতরে পৌঁছন তেলতুম্বডে। সেখানেই আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তখনই গ্রেফতার করা হয় বি আর অম্বেডকরের পরিবারের এই সদস্যকে। পরে তাঁকে মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। তেলতুম্বডের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে কালো পতাকা তোলা হয়।
ওই মামলায় আর এক অভিযুক্ত সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা আজ দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে এসে আত্মসমর্পণ করেন। এনআইএ সূত্রের খবর, তাঁকে প্রথমে দিল্লির আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: হেঁটেই যাবেন বাড়ি, বলছেন শ্রমিকেরা
আরও পড়ুন: সবার আগে সতর্ক ভারত, দাবি মোদীর
তেলতুম্বডে, নওলাখা এবং আরও ৯ জন মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে মাওবাদী-যোগের অভিযোগে ইউএপিএ-তে মামলা করেছে এনআইএ। ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে সংঘর্ষের পরে পুণের পুলিশ অভিযোগ আনে, এলগার পরিষদের সভা থেকে সংঘর্ষের প্ররোচনা দিয়েছেন এই সমাজকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে মাওবাদী-যোগের দাবি করে পুলিশ। পরে মামলাটি যায় এনআইএ-র হাতে। আজ তেলতুম্বডে ও নওলাখার গ্রেফতারির প্রতিবাদ করেছে ‘কোঅর্ডিনেশন অব ডেমোক্র্যাটিক রাইটস অর্গানাইজেশন’।
আত্মসমর্পণের আগেই দেশের মানুষের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন তেলতুম্বডে। এই মামলায় তাঁকে জোড়ার পিছনে আরএসএসের হাত থাকার অভিযোগ এনেছেন তিনি। লিখেছেন, গ্রেফতার হওয়া দু’জনের কম্পিউটার থেকে পুলিশ যে ১৩টি চিঠি পেয়েছে, তার পাঁচটিতে ‘আনন্দ’ নামটির উল্লেখ ছিল। তার ভিত্তিতেই মামলায় জড়ানো হয়েছে তাঁকে। তেলতুম্বডের দাবি, আনন্দ নাম তো ভারতে অনেকেরই রয়েছে।