প্রতিবাদরত কৃষকরা। ফাইল চিত্র।
নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর সঙ্গে জড়িত একটি মামলার তদন্তে পঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধু ও কৃষক নেতা বলদেব সিংহ সিরসা-সহ ৪০ জনকে তলব করল এনআইএ। অভিনেতা দীপ সিধু দীর্ঘদিন ধরে চলতি কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে কৃষকদের নানা ভাবে সাহায্য করছিলেন। তাঁকে রবিবার দিল্লিতে এনআইএ দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া খালসা সংগঠনের দু’জনকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এই পদক্ষেপের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছেন প্রতিবাদী কৃষকরা।
ঘটনার প্রেক্ষিতে একসময়ে বিজেপির জোট সঙ্গী শিরোমনি অকালি দল তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে প্রতিবাদরত কৃষকদের মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
অকালি দলের নেতা সুখবীর সিংহ বাদল টুইট করে বলেছেন, ‘এনআইএ ও ইডি-কে দিয়ে ডেকে পাঠিয়ে কৃষক আন্দোলনে ভাঙন ধরানোর যে চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকার করছে, তার তীব্র বিরোধিতা করছি। ওঁরা দেশদ্রোহী নন। নবম দফার বৈঠকও ব্যর্থ হওয়ার পর ছবিটা এখন স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে যে ভাবে হোক কৃষক আন্দোলনকে ভাঙতে’।
খালসা সংগঠনটি চলতি কৃষক আন্দোলনের প্রথম থেকে আন্দোলনকারীদের নানাবিধি নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবা ও জিনিস দিয়ে সাহায্য করে আসছে। সেই সংগঠনের পক্ষ থেকেও একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, তাঁরা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বাস চালক থেকে কৃষক নেতা, অনেককেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকে পাঠানোয় আমরা উদ্বিগ্ন। ওঁদের তদন্তকারী সংস্থা দেশদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হিসাবে তদন্ত করে দেখতে চাইছে। আমাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। আমরা তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করব’।
বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে হাজার হাজার কৃষক কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। অন্য দিকে, বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, এই আন্দোলনে দেশদ্রোহী শক্তি কাজ করছে। যদিও তার প্রমাণ এখনও হাতে নাতে দিতে পারেননি কেউই।
আরও পড়ুন: কো-উইন অ্যাপে সমস্যা, ১৮ তারিখ পর্যন্ত টিকাকরণ বন্ধ রাখল মহারাষ্ট্র
আরও পড়ুন: কে ডি সিংহের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, ডাক পড়বে আরও ১৫ জনের