জেনি রোয়েনা
মিরান্ডা হাউসের শিক্ষিকা জেনি রোয়েনার বাড়িতে আজ তল্লাশি চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সকালে এনআইএ-র ১০ সদস্যের একটি দল তাঁর নয়ড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। জেনি জানিয়েছেন, এলগার পরিষদ মামলার তদন্তে এই তল্লাশি। ওই মামলায় গত ২৮ জুলাই এনআইএ গ্রেফতার করেছে জেনির স্বামী তথা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হ্যানি বাবুকে।
২০১৮ সালের জুন থেকে বহু শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মীকে এলগার পরিষদ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় হ্যানি বাবু হলেন দ্বাদশ ব্যক্তি যাঁকে এনআইএ গ্রেফতার করেছে। জেনি জানিয়েছেন, আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে হাজির হন এনআইএ-র আট জন পুরুষ এবং দু’জন মহিলা আধিকারিক। তাঁরা জানান, এলগার পরিষদের মামলায় হ্যানি-জেনির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে। জেনির কথায়, ‘‘আচমকাই ওঁরা হাজির হয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে আমি আর আমার মেয়ে। তদন্তকারী অফিসারেরা কিছু হার্ড ডিস্ক এবং জিএন সাইবাবার মুক্তির বিষয় সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র নিয়ে যায়।’’
জেনি জানিয়েছেন, সাড়ে ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এনআইএ-র আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান। মিরান্ডা হাউসের ওই অধ্যাপিকা বলেন, ‘‘তদন্তকারীদের বলেছিলাম, তল্লাশি চালানোর কথা আমার কয়েক জন বন্ধুকে জানানোর অনুমতি দিতে হবে। তা হলেই আমি বাড়িতে তল্লাশি করতে দেবো। তাঁরা সেই অনুমতি দেন। আমার পরিচিতেরা অল্পসময়ের মধ্যেই চলে এসেছিলেন।’’
মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে। পরবর্তী সময় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। বর্তমানে তিনি নাগপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন। জেনি জানিয়েছেন, ‘জিএন সাইবাবা ডিফেন্স কমিটি’র কাগজপত্র এনআইএ-র তদন্তকারীরা নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এ গুলি জনসমক্ষেই রয়েছে। সাইবাবার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন বিক্ষোভে এগুলি প্রচার করা হয়েছিল। হ্যানিদের বাড়িতে এনআইএ-হানার নিন্দা করেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি রাজীব রায় বলেছেন, ‘‘এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারের কাছে আবেদন, শিক্ষাবিদ এবং মেধাবী মানুষদের বিরুদ্ধে বেআইনি পদক্ষেপ এবং প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ থেকে বিরত থাকুন।’’ জিএন সাইবাবা মুক্তি কমিটিও হ্যানি বাবুর গ্রেফতারি এবং তাঁর বাড়িতে তল্লাশির প্রতিবাদ জানিয়েছে।