খাগড়াগড়ের চক্রী হাবিবুর রহমান। —নিজস্ব চিত্র।
খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম ওয়ান্টেড হাবিবুর রহমান শেখকে জেরা করে হদিশ মিলল দুটি তাজা ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের(আইইডি)। বুধবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র গোয়েন্দারা হাবিবুরকে সঙ্গে নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে কিছুটা দূরে রামনগরমের কাছে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার করেন এই দুটি আইইডি।
এনআইএ-র সূত্রে খবর, হাবিবুর জেরায় জানিয়েছে এক জেএমবি সদস্যকে দেওয়ার জন্যই আইইডিগুলো সে রেললাইনের ধারে লুকিয়ে রেখেছিল। গোয়েন্দাদের ধারনা বোধগয়া বিস্ফোরণের পর এ দেশে ফের নাশকতার ছক কষছিল জেএমবির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহিন ওরফে বড় ভাই। সেই নাশকতার জন্যই মজুত করা হয়েছিল ওই আইইডি। এই রামনগরম এলাকাতেই ঘাঁটি তৈরি করেছিল জেএমবির সুরা সদস্য জহিদুল ইসলাম ওরফে কওসর। কওসরের সঙ্গে ছিল মুস্তাফিজুর রহমান।
২০১৮ সালে কওসর এবং মুস্তাফিজুরকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কিন্তু সেই সময়ও হাবিবুর বা তার ডেরার সন্ধান পাননি গোয়েন্দারা। এনআইএ গোয়েন্দাদের দাবি, গত তিন বছরে হাবিবুর এবং জেএমবি সদস্যরা বেঙ্গালুরুর আশেপাশে বেশ কয়েকটা ডাকাতি করেছে সংগঠনের তহবিল বাড়ানোর জন্য। এনআইএ হাবিবুরকে পাঁচ দিনের ট্রানজিট রিমাণ্ডে পেয়েছে। তাকে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলার ‘জিহাদ বাজার’ই টার্গেট, জেএমবি-কে সামনে রেখে লড়াই আইএস-আল কায়দার