পুলিশের সাহায্যে দিল্লি এবং শ্রীনগরে তল্লাশি এনআইএ-র। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির অর্থের জোগান বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার সকালে ফের শুরু হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র অভিযান।
এ দিন দিল্লি এবং কাশ্মীরের মোট ৯টি ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছে বলে এনআইএ সূত্রের খবর। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তল্লাশির তালিকায় দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জাফর উল ইসলাম খানের ঠিকানার পাশাপাশি দিল্লির ২টি-সহ মোট ৬টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দফতরও রয়েছে।
দিল্লির ‘চ্যারিটি অ্যালায়েন্স’ এবং ‘হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’-এর বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশ থেকে আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করে কাশ্মীরের সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে এনআইএ-র একটি সূত্রে দাবি। জাফর চ্যারিটি গোষ্ঠীর প্রধান। পাশাপাশি, তিনি মিল্লি গেজেট নামে একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক।
জম্মু ও কাশ্মীরের ‘ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট’, ‘জেকে ইয়েতিম ফাউন্ডেশন‘, ‘স্যালভেশন মুভমেন্ট’, ‘জে অ্যান্ড কে ভয়েস অফ ভিকটিমস’-এর মতো কাশ্মীর উপত্যকার পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির দফতরেও এ দিন হানা দেয় এনআইএ-র টিম। তল্লাশিতে বেশ কিছু ‘অপরাধমূলক নথি’ এবং বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযানে সংশ্লিষ্ট রাজ্য পুলিশেরও সাহায্য নেওয়া হয়।
বুধবার কাশ্মীরের ৯টি এবং কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর একটি ঠিকানায় এনআইএ তল্লাশি হয়। এর মধ্যে সংবাদপত্র ‘গ্রেটার কাশ্মীর’-এর মালিকানা সংস্থার দফতরের পাশাপাশি কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং ট্রাস্টের কার্যালয় বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির পরিচালকদের বাড়ি ছিল।
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের অর্থের উৎস খুঁজতে কাশ্মীর, কর্নাটকে তল্লাশি এনআইএ-র
কাশ্মীরের মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা পারভেজ খুররমের বাড়ি, তাঁর সংস্থা ‘জম্মু-কাশ্মীর কোয়ালিশন ফর সিভিল সোসাইটি’-র দফতরে এনআইএ আধিকারিকরা বুধবার তল্লাশি চালিয়েছিলেন। খুররমের দুই সহযোগী এবং তাঁর বন্ধু স্বাতী শেষাদ্রির বেঙ্গালুরুর বাড়িতেও তল্লাশি হয়। কাশ্মীরে নিখোঁজদের পরিবারের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ পেরেন্টস অফ ডিসঅ্যাপিয়ার্ড পার্সনস’-এর প্রধান পরভিনা অহঙ্গেরের বাড়ি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অ্যাথ্রাউট’, ‘জিকে ট্রাস্ট’-এর দফতরও ছিল তালিকায়।
আরও পড়ুন: পরিবারে পরিবর্তন কেন্দ্রীয় শাসনে বঙ্গ বিজেপি
এনআইএ জানিয়েছে, এ বিষয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ১২৪-এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) এবং ইউএপিএ-র বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।