দেশ জুড়ে চলছে অভিযান। ছবি— পিটিআই।
দেশ জুড়ে শুরু এনআইএর দ্বিতীয় দফার অভিযান। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার অভিযানে এখনও পর্যন্ত দেশের সাত থেকে আটটি রাজ্যে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা। প্রথম দফার অভিযানের পর দ্বিতীয় দফাতেও গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েক জন। উদ্ধার হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি।
দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার অভিযান। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানী দিল্লির রোহিনী, নিজামুদ্দিন, জামিয়া মিলিয়া চত্বরে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা, শাহিনবাগে নেমেছে আধাসেনা। এখনও পর্যন্ত পিএফআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে সন্দেহে ২৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুধু রাজধানী দিল্লিই নয়, দেশের অন্তত সাত থেকে আটটি রাজ্যে এক যোগে অভিযান শুরু করেছে এনআইএ এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা। এনআইএ সূত্রে দাবি, প্রথম দফার অভিযানে যে সমস্ত পিএফআই নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতেই সোমবার গভীর রাত থেকে দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু হয়েছে।
পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই সংগঠন সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যের পাশাপাশি মুসলিম যুব সম্প্রদায়ের জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থায় যুক্ত। যুব সম্প্রদায়কে মৌলবাদী ভাবনায় চালিত করারও অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। এনআইএ নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পর পর অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রথম বার অভিযান শুরু করে এনআইএ। তাতে ১০৬ জন পিএফআই সদস্য ও নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথম দফায় অভিযান চলে দেশের ১৫টি রাজ্যে।
সোমবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার অভিযানে এই প্রতিবেদন লেখা বিভিন্ন রাজ্য থেকে আড়াইশো জনেরও বেশি পিএফআই নেতা, সমর্থককে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশির ভাগই রাজধানী দিল্লির। তার পরেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, অসম, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তেলঙ্গানা এবং উত্তরপ্রদেশ।
২০০৬-এ তৈরি হওয়া পিএফআই ঘোষিত ভাবে প্রান্তিক সম্প্রদায়ভুক্তদের ক্ষমতার কথা বললেও তারা আসলে মৌলবাদী কাজে যুক্ত বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। দলিত, মুসলিম ও আদিবাসীদের ক্ষমতায়ণের নামে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হিংসাত্মক কার্যকলাপে মদত দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। যদিও এই সংগঠনটি এখনও নিষিদ্ধ নয়।