Blast

চিনা ড্রোনে হামলা জম্মুতে, এসেছিল পাকিস্তান থেকে, বলছে এনআইএ সূত্র

বিস্ফোরণের পরেই জম্মুর নারওয়াল এলাকা থেকে ৪ কেজি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) নিয়ে ধরা পড়েছে নাদিম উল হক নামের এক যুবক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ ১৭:৪৮
Share:

দেশের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে এই প্রথম এই ধরনের হামলা হল ছবি: টুইটার থেকে।

জম্মু বিমানবন্দরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জোড়া বিস্ফোরণের জন্য চিনা ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই উঠে এসেছে তদন্তে। এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে চিনে তৈরি ড্রোন পাকিস্তান হয়ে ভারতে ঢুকে এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছেন এনআইএ আধিকারিকরা। এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

শনিবার রাতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় তেমন বড় কোনও ক্ষতি না হলেও দেশের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে এই প্রথম এই ধরনের হামলা হল। এই ঘটনার পিছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, স্টেশনে মোতায়েন বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারগুলিকেই নিশানা করা হয়েছিল। কোনও ভাবে ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বোমা বিশেষজ্ঞ, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।

রবিবারই জম্মুর নারওয়াল এলাকা থেকে ৪ কেজি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) নিয়ে ধরা পড়েছে নাদিম উল হক নামের এক যুবক। বড় নাশকতার উদ্দেশ্যেই এই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিংহ বলেছেন, ‘‘জম্মুতে বিস্ফোরক বহনকারী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। আরও একটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। কোনও জনবহুল জায়গায় ব্যবহার করার জন্য এক লস্কর ই তইবা জঙ্গি ওই আইইডি নিয়ে যাচ্ছিল।’’ এই ঘটনার পরে পাঠানকোট-সহ অন্য বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে সতর্কতা জারি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement