—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিদেশে তো বেড়েইছে, দেশেও লোকসভার আগে তৎপরতা বাড়াতে পারে খলিস্তানপন্থীরা। আশঙ্কা রয়েছে, ভোটের আগে হতে পারে সন্ত্রাসবাদী হামলাও। তাই সব ক’টি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। দিল্লিতে আগামী ৫-৬ অক্টোবর ওই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি গতিবিধি আগের চেয়ে কমেছে। স্বরাষ্ট্র সূত্রের মতে, সেই কারণে নতুন করে ভারতে খলিস্তানি আন্দোলনকে বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। যার ফলে পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, দিল্লি ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে একাধিক স্লিপার সেল তৈরি করা হয়েছে, যারা তলে তলে খলিস্তানি আন্দোলনকে মদত দিয়ে চলেছে।
কেন্দ্র এ বার তাই ওই খলিস্তানপন্থীদের শিকড় উপড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযানে নামতে চাইছে। গত সপ্তাহেই ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংস্থার প্রধান গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুনের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনআইএ। পাশাপাশি, গত কাল ১৯ জন খলিস্তানপন্থী জঙ্গিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এনআইএ। যাদের বিরুদ্ধে বিদেশে বসে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এদের সম্পত্তিও দ্রুত বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কানাডার দাবি উড়িয়ে ভারত খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জর প্রসঙ্গে নথি প্রকাশ করেছে। নিজ্জর কী ভাবে কানাডার জমি ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দিত, তোলা আদায়-সহ জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
সূত্রের মতে, আগামী মাসে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে, তাতে দেশ ও দেশের বাইরে খলিস্তানপন্থীদের গতিবিধি, সন্ত্রাসে অর্থ ও মদত কোথা থেকে আসছে তা চিহ্নিত করা, সন্ত্রাসে মদতদাতাদের কার্যকলাপ সামনে আনা, তাদের চিহ্নিত করে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বৈঠকে এনআইএ প্রধান ছাড়াও, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি), রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং (র’) প্রধান ছাড়াও থাকবেন প্রতিটি রাজ্যের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)-র প্রধানেরা।