বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে সন্দেহভাজনের খোঁজ দিলে মিলবে আর্থিক পুরস্কার। — ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটানো সন্দেহভাজন যুবকের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে ১০ লক্ষ টাকা নগদ। এমনই ঘোষণা করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বুধবার একটি বিবৃতি জারি করে আর্থিক পুরস্কারের কথা জানিয়েছে তারা। সেই বিবৃতিতে সন্দেহভাজন যুবকের একটি ছবিও দেওয়া হয়েছে।
গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই বিস্ফোরণে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় জোরালো বিস্ফোরণ হয়নি। বেশি মাত্রায় এই বিস্ফোরক ব্যবহার করলে প্রচুর প্রাণহানি ঘটতে পারত।
বিস্ফোরণের পর ওই ক্যাফে এবং তার আশপাশের কিছু সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। সেই ফুটেজ থেকেই সন্দেহভাজন যুবকের গতিবিধির কথা জানতে পারে পুলিশ। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সন্দেহভাজন যুবকটি ক্যাফের কাছের বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। তার পর ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ১১টা ৩৪ মিনিট নাগাদ ক্যাফেতে ঢোকেন। দ্বিতীয় ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ১১টা ৪৩ মিনিট নাগাদ ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যান। ক্যাফে থেকে বেরোনোর পর ১০০ মিটার পর্যন্ত ওই ব্যক্তির গতিবিধির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
আরও জানা গিয়েছে, চোখে সানগ্লাস, মুখে মাস্ক, মাথায় টুপি দিয়ে ওই যুবক ক্যাফের মধ্যে প্রবেশ করেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল। যদিও ক্যাফে ছাড়ার সময় সেই ব্যাগটি যুবকের সঙ্গে ছিল না। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ব্যাগের মধ্যেই বিস্ফোরক নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাঁর ক্যাফে ছাড়ার ঘণ্টাখানেক পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সোমবারই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ নিজের হাতে তুলে নেয়।
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর রবিবার সংবাদমাধ্যমে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছিলেন বছর দুয়েক আগে মেঙ্গালুরুর এক বিস্ফোরণের কথা। তিনি জানিয়েছিলেন, রামেশ্বরমের ক্যাফে বিস্ফোরণে যে পদ্ধতি এবং যে ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, তার সঙ্গে মেঙ্গালুরুর ঘটনার মিল আছে। সোমবার তিনি আবারও সেই কথা বলেন। তার পর তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। মোট আটটি দল গঠন করে তদন্ত চলছে। আমরা অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বার করব।’’