Delhi Police Raid

‘নিউজ়ক্লিক’কাণ্ডে ধৃত সম্পাদককে সাত দিনের জন্য দিল্লি পুলিশের হেফাজতে পাঠাল নিম্ন আদালত

মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পরে ‘ইউএপিএ’-তে নিউজ়ক্লিকের সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার নিম্ন আদালতের বিচারকের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ধৃত দু’জনকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১১:০৭
Share:

প্রবীর পুরকায়স্থ। ছবি: সংগৃহীত।

‘নিউজ়ক্লিক’কাণ্ডে ধৃত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রধান সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার আর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক অমিত চক্রবর্তীকে সাত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল দিল্লির একটি নিম্ন আদালত। মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বা ইউএপিএ)-এ তাঁদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। বুধবার সকালে নিম্ন আদালতের বিচারকের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ধৃত দু’জনকে। সেখানেই তাঁদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

আর্থিক তছরুপ এবং চিনকে সমর্থন করে এমন কিছু লেখা প্রকাশ করার অভিযোগে ‘নিউজ়ক্লিক’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত বহু সাংবাদিক এবং কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ।

‘দ্য ওয়্যার’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের ১৭ অগস্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির ইউএপিএ আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। দিল্লি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এবং গাজ়িয়াবাদে ৩০টিরও বেশি জায়গায় মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ। ইডির কাছ থেকে তথ্য পেয়েই এই অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বৈদ্যুতিন গ্যাজেট, ফোন, হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা যায়। বেশ কিছু সাংবাদিককে লোধি রোডে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের দফতরেও নিয়ে আসা হয় বলে জানা যায়। তল্লাশি চালানো হয় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ৪৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

Advertisement

এই তল্লাশি অভিযান এবং গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। অনেকেই এই তল্লাশি অভিযানকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে সমালোচনা করেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বলেও অভিযোগ ওঠে। ‘দ্য প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া’ এই তল্লাশি প্রসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা ‘ডিফেন্ডমিডিয়াফ্রিডম’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে শুরু করে। একটি বিবৃতি জারি করে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া জানায়, ‘নিউজ়ক্লিক’-এর সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক এবং লেখকদের বাড়িতে এই তল্লাশি খুবই উদ্বেগের। তারা এই গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, কেউ যদি দোষ করে থাকে, তা হলে তদন্ত হতেই পারে। সুতরাং এই তদন্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করার যৌক্তিকতা আছে বলে তাঁর মনে হয় না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement