নিউজ়ক্লিকের সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ (নীল গেঞ্জিতে)। ছবি: সংগৃহীত।
ইউএপিএ মামলায় গ্রেফতারি খারিজ করেনি দিল্লি হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ‘নিউজ়ক্লিকে’র সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থাটির মানবসম্পদ দফতরের প্রধান অমিত চক্রবর্তী। শীর্ষ আদালত প্রবীরের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে জানিয়েছে, তারা শুনানির বিষয়ে আলোচনা করবে।
দিল্লি হাই কোর্টে প্রবীরেরা জানিয়েছিলেন যে, তাঁদের আটক করার সময় দিল্লি পুলিশ লিখিত কারণ জানায়নি। এই প্রেক্ষিতে দিল্লি হাই কোর্ট জানায় ইউএপিএ মামলায় কোনও ব্যক্তিকে আটক করার সময় গ্রেফতারির লিখিত কারণ জানানো বাধ্যতামূলক নয়। তবে একই সঙ্গে দিল্লি পুলিশকে গ্রেফতারির কারণ জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
আর্থিক তছরুপ এবং চিনকে সমর্থন করে ভারত-বিরোধী কিছু লেখা প্রকাশ করার অভিযোগে ‘নিউজ়ক্লিক’ সংবাদ পোর্টালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ অক্টোবর সকাল থেকে এই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত বহু সাংবাদিক এবং কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় প্রবীর এবং অমিতকে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর দিল্লি পুলিশের এফআইআর-এ উল্লিখিত অভিযোগগুলিকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করে, দিল্লি হাই কোর্টে তা খারিজের আবেদন জানান প্রবীর এবং অমিত। এই তল্লাশি অভিযান এবং গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়। অনেকেই এই তল্লাশি অভিযানকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে সমালোচনা করেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বলেও অভিযোগ ওঠে। ‘দ্য প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া’ এই তল্লাশি প্রসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা ‘ডিফেন্ডমিডিয়াফ্রিডম’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে শুরু করে। একটি বিবৃতি জারি করে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া জানায়, ‘নিউজ়ক্লিক’-এর সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক এবং লেখকদের বাড়িতে এই তল্লাশি খুবই উদ্বেগের। তারা এই গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে।