থানায় ঢুকে তাণ্ডব নববধূর।
পরনে লাল বেনারসী। কনের সাজ। এলোমলো চুল। টিপ, লিপস্টিক সব লেপ্টে গিয়েছে। বিধ্বস্ত এক নববধূকে নিয়ে হিমশিম খেতে হল পুলিশকর্মীদের। থানায় ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন তিনি। চিৎকার করে বললেন, “দুটো বিয়ে করব আমি। দুটো বিয়ে। আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।” বার বারই চিৎকার করে এই কথা বলতে শোনা যাচ্ছিল তাঁকে।
নববধূকে সামলানোর চেষ্টা করছিলেন মহিলা পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাঁদের উপরও চড়াও হতে দেখা যায় নববধূকে। এক মহিলা পুলিশকর্মীর হাতে থাকা কাগজ এবং ফোন টেনে ছুড়ে ফেলে দেন। বাকি পুলিশকর্মীরা নীরব দর্শক হয়ে মহিলার তাণ্ডব দেখছিলেন। তার পর একটা সময় নববধূকে টেনে থানার ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে দেখা যায়। থানার মধ্যে এই ‘হাই ভোল্টেজ’ নাটকের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই তরুণীর সঙ্গে এক যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ভালবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে না দিয়ে সম্বন্ধ করে বিয়ে দেন। সেটা মেনে নিতে পারেননি তরুণী। থানায় কী কারণে এসেছিলেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে থানায় ঢোকার পর বার বারই তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছিল দুটো বিয়ে করবেন তিনি। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নেটাগরিকরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন। কেউ তাঁর মুখের অবস্থা, এলোমেলো চুল দেখে রসিকতা করে বলেছেন, “মঞ্জুলিকা ২-এর দৃশ্য।” আবার এক জন বলেছেন, “ওঁর শরীরে ভুলভুলাইয়া ছবির মঞ্জুলিকার আত্মা ভর করেছে। দুটো কেন, ২০টি বিয়েও করতে পারেন।”