প্রতীকী ছবি।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজে সদ্যোজাতদের করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। কাল দু’টি শিশুর শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়ে। আজ আরও তিনটি শিশু আক্রান্ত হয়। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের বয়স ৯ , ১১ ও ১৮ দিন৷ তাদের মায়েরা আগে থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ মায়ের থেকেই সন্তানের সংক্রমণ হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা।
গত সপ্তাহে আচমকা প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ চিকিৎসা বিভাগে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, মেডিক্যাল কলেজে এখন রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ তবে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হয় না। প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ চিকিৎসা বিভাগেও একই নিয়ম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তানের জন্মের পরে মায়ের রিপোর্ট আসে৷ প্রায় ১০ শতাংশের পজ়িটিভ ধরা পড়ে৷ তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়া হয়৷ সদ্যোজাতদেরও তখন কোভিড টেস্ট করানো হয়। আগে মা পজ়িটিভ হলেও সন্তানদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসছিল৷ এখন সদ্যোজাতদেরও সংক্রমণ ধরা পড়ছে।
কলেজের উপাধ্যক্ষ ভাস্কর গুপ্ত বলেন, মায়েদের বাড়তি ভিটামিন দেওয়া হচ্ছে৷ তাতে সন্তানেরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। অন্য দিকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজেও করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি শুরু হল৷ এখানে প্রথম প্লাজমা নিলেন অসম বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্কর৷ গত মঙ্গলবার তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হন।