প্রতীকী চিত্র।
বছরে ৩০ লক্ষ যাত্রী ধরতে পারে এমন নতুন টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে আগরতলা বিমানবন্দরের জন্য। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী বছরের প্রথম দিকেই নতুন এই টার্মিনাল যাত্রীদের জন্য চালু করে দেওয়া হবে।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার এই মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর শুধু ত্রিপুরার নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রধান বিমানবন্দর। বিমানই কলকাতা তথা ভারতের অন্য রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোদের প্রধান উপায়। ত্রিপুরা তথা উত্তর-পূর্বের, এমনকি বাংলাদেশেরও বহু মানুষ প্রধানত চিকিৎসার কারণে বিমানে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু যাতায়াত করেন। কলকাতা ছাড়াও সরাসরি দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর উড়ান রয়েছে আগরতলা থেকে। তা ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের গুয়াহাটি ও ইম্ফল বিমানবন্দরের সঙ্গেও বিমানে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে আগরতলার।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরনো যে টার্মিনাল রয়েছে, সেটিতে আর জায়গা নেই। যে সময়ে সবচেয়ে বেশি উড়ান থাকে, তখন সেখানে একসঙ্গে পাঁচশোর বেশি যাত্রী হয়ে গেলে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। যাত্রীদের পর্যাপ্ত বসার জায়গাও থাকে না। এই অবস্থায় প্রায় ৪৩৮ কোটি টাকা খরচ করে নয়া টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা হয়। যার ৯০% কাজই শেষের পথে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ বার আগরতলা থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান চালানোরও পরিকল্পনা হচ্ছে। তাই, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দুটি ক্ষেত্র নিয়ে ইন্টিগ্রেটেড টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে সেখানে। যেখানে খুব বেশি উড়ান থাকলেও একসঙ্গে সর্বোচ্চ এক হাজার অভ্যন্তরীণ যাত্রী এবং ২০০ আন্তর্জাতিক যাত্রী বসতে পারবেন। ৩০ হাজার বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে তৈরি এই টার্মিনালে ২০টি চেক-ইন কাউন্টার, ৪টি এরোব্রিজ, চারটি কনভেয়ার বেল্ট বসানো হবে। উড়ান বাড়ার কথা মাথায় রেখে বাড়ানো হচ্ছে বিমান দাঁড়ানোর অ্যাপ্রন এলাকাও। সেখানে নতুন ছ’টি পার্কিং বে-ও তৈরি করা হচ্ছে।
স্থানীয় বিমানবন্দর যাতে স্থানীয় সংস্কৃতির পরিচয় বহন করতে পারে, তার জন্য নতুন টার্মিনাল তৈরির সময় ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ, জালি এবং ম্যুরাল। কর্তৃপক্ষ জানান, ত্রিপুরার গ্রামে ও শহরে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এই বাঁশ ও জালির ব্যবহার বহুল প্রচলিত। এমন ভাবে জালি ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে দিনের বেলায় পর্যাপ্ত সূর্যালোক টার্মিনালের ভিতরে ঢুকতে পারে। জালি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক আলোকে কাজে লাগিয়ে শক্তি সঞ্চয়ও হবে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।