উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে সুড়ঙ্গের মুখ (চিহ্নিত)। ছবি: ম্যাক্সার।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) টানাপড়েনের মধ্যেই লাদাখে ‘চিনা আগ্রাসনের’ নয়া অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। এ বার ম্যাক্সার টেকনোলজির প্রকাশিত নয়া উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, এলএলসি লাগোয়া আকসাই চিন এলাকায় চিনা পিললস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) স্থায়ী বাঙ্কার এবং বড় সুড়ঙ্গ তৈরি করছে। স্থায়ী ভাবে সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
কয়েক মাস আগে প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীরে জুড়ে চিনা ফৌজের সেতু নির্মাণের ‘তৎপরতা’ দেখা গিয়েছিল উপগ্রহচিত্রে। এ বার এলএসির প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে ঘাঁটি নির্মাণের ছবি সামনে এসেছে। ভবিষ্যতে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতির মোকাবিলার লক্ষ্যেই শি জিনপিংয়ের সেনার এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সেনার পাশাপাশি ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ রসদ মজুত রাখার ব্যবস্থা রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে বলেই ২০২১-এর ৬ ডিসেম্বর এবং ২০২৩-এর ১৮ অগস্ট তোলা দু’টি উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষণ করে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, ২০২০-র এপ্রিলে ডেমচক, ডেপসাং, গালওয়ান, গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণের পাশাপাশি প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ফিঙ্গার এরিয়া-৮ থেকে অনুপ্রবেশ করেছিল চিনা ফৌজ। চলে এসেছিল ফিঙ্গার এরিয়া-৪-এর কাছে। জুন মাসে গালওয়ান উপত্যতায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে নতুন করে দ্বিপাক্ষিক শান্তি আলোচনা শুরু হয়। তারই মধ্যে হ্রদের দক্ষিণে হেলমেট টপ থেকে রেচিন লা বেশ কিছু উঁচু এলাকায় দখল নেয় ভারতীয় সেনার ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’।
এর পর দফায় দফায় আলোচনার পরে ফেব্রুয়ারিতে দু’পক্ষের সেনাই মুখোমুখি অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে যায়। তবে ডেপসাং, ডেমচকের মতো কিছু ‘সংঘর্ষবিন্দুতে’ এখনও ভারতীয় এলাকায় চিনা ফৌজ ঘাঁটি গড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মঙ্গলবার কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত একদলীয় চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস’ যে নতুন ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ’ প্রকাশ করেছে তাতে অরুণাচল প্রদেশের পাশাপাশি লাদাখের পুরো আকসাই চিন এলাকাকেই ‘চিনা ভূখণ্ড’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।