বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’। —ফাইল চিত্র।
বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’-র বহর আরও বাড়তে চলেছে। বেঙ্গালুরুতে বিজেপির বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল ‘ইন্ডিয়া’-র সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে ২৭টি দল যোগ দেবে। মহারাষ্ট্রের কৃষক নেতা রাজু শেট্টির স্বাভিমানী পক্ষকে এই সম্মেলনে আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বাভিমানী পক্ষ মহারাষ্ট্রের স্বাভিমানী শেতকারী সংগঠনের রাজনৈতিক শাখা। এই দল এক সময়ে বিজেপির জোটসঙ্গী ছিল। পরে মহারাষ্ট্রের শাসক শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোটেও ছিল। আরও ৮টি দল বিরোধীদ জোট ‘ইন্ডিয়া’-য় যোগ দিতে আগ্রহী। এর মধ্যে অসম, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের দল রয়েছে। তাদের ‘ইন্ডিয়া’-য় আহ্বান জানানো হবে কি না, তা নিয়ে মুম্বইয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
অতীতে ইউপিএ, এনডিএ জোট তৈরি হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের পরে। এ বার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আগেই ২৬টি বিজেপি-বিরোধী দলের জোট তৈরি করে তার নামকরণও হয়ে গিয়েছে। ‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স) জোটের সমন্বয়ের জন্য একটি ১১ জন সদস্যের সমন্বয় কমিটি তৈরি হবে। প্রধান বিরোধী দলের শীর্ষ নেতানেত্রীরাই তাতে থাকবেন। সূত্রের খবর, এর সঙ্গে মুম্বইয়ের বৈঠকে জোটের আহ্বায়কের বিষয়েও আলোচনা হবে। রাজ্য স্তরে বিরোধী দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতার জন্য একটি উপকমিটি তৈরি হবে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত বিরোধী দলগুলি আলাদা আলাদা ভাবে নিজেদের কথা বলছিল। নরেন্দ্র মোদী সরকার তথা বিজেপি জোটকে নিশানা করছিল। এখন থেকে ‘ইন্ডিয়া’-র মুখপাত্রদের সমন্বয়ের জন্য একটি উপকমিটি তৈরি হবে। ‘ইন্ডিয়া’-র শরিক দলগুলির মধ্যে কোথাও কোথাও রাজ্য স্তরে বিরোধিতা থাকবে। তাই ‘ইন্ডিয়া’-র হয়ে মুখপাত্রেরা শুধুমাত্র জাতীয় রাজনীতির বিষয়ে মুখ খুলবেন। বিজ্ঞাপন, প্রচারের খরচে বিজেপির সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল বুঝে মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যমের বদলে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছতে ইউটিউব চ্যানেলের মতো বিকল্প মাধ্যমে বেশি নজর দেওয়া হবে।
মুম্বইয়ের ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকের আয়োজনের মূল দায়িত্বে থাকবে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা। ৩১ অগস্ট বিকেলে বৈঠক শুরু হবে। ১ সেপ্টেম্বর দিনভর বৈঠক চলবে। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা সূত্রের খবর, ‘ইন্ডিয়া’-র নামকরণের পরে এ বার তার লোগো-ও প্রকাশ করা হবে।