দিল্লিতে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। — ফাইল ছবি।
দিল্লিতে হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। তার জন্য কোভিডের প্রজাতি ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতিকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান চিকিৎসক এন কে অরোরা জানালেন, জানুয়ারিতে সংক্রমণ ছড়ানো ওমিক্রনের মূল প্রজাতি থেকে এখনকার নতুন এই উপপ্রজাতি অনেক বেশি মারাত্মক। অনেক বেশি ছোঁয়াচে। অরোরার আরও আশঙ্কা, এখন বাজারে যে সব কোভিড টিকা পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর কার্যকারিতা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অরোরা বললেন, ‘‘দিল্লিতে এখন সংক্রমণের হার ১৮ শতাংশ, যা উদ্বেগজনক। তবে হাসপাতালে ভর্তির হার এবং মৃত্যুর সংখ্যাও বিচার করা উচিত। দিল্লি এবং গোটা দেশের জন্য তা প্রযোজ্য।’’
এখানেই থামেননি অরোরা। কিছুটা আশ্বস্ত করেই বলেন, ‘‘ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা হয়েছিল। খুব বেশি মারাত্মক ছিল না এই প্রজাতি। ভারতে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হারও কম ছিল। শুধু কোভিড পরীক্ষার হেরফেরের কারণে বার বার পরিবর্তিত হতে থাকে সংক্রমণের হার।’’
দেশে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে দিল্লি। অরোরার কথায়, দিল্লিতে এখন ওমিক্রনের বি২ এবং বি৫ উপপ্রজাতি সক্রিয়। মূল প্রজাতির থেকে ২০-৩০ শতাংশ বেশি কার্যকর এই উপপ্রজাতি। তবে বার বার তিনি আশঙ্কা করতে বারণ করেছেন। বলেছেন, ‘‘পরবর্তী দু’-তিন মাস যদি এ রকমই পরিস্থিতি থাকে, তাহলে জনস্বাস্থ্য আধিকারিক হিসাবে বলব, আবার আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।’’