খাবারের ইচ্ছেমতো দাম ঠেকাতে ট্রেনে যন্ত্র

খাবারের যথেচ্ছ দাম নেওয়ার প্রবণতায় রাশ টানতে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘পয়েন্ট অব সেলিং’ মেশিন বা পিওএস রাখা বাধ্যতামূলক করছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০৩:৪১
Share:

চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের কাছে ইচ্ছেমতো দামে খাবার বিক্রি করার দেদার অভিযোগ জমা হচ্ছিল রেলের অনুমোদিত সংস্থার বিরুদ্ধেই।

Advertisement

খাবারের যথেচ্ছ দাম নেওয়ার প্রবণতায় রাশ টানতে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘পয়েন্ট অব সেলিং’ মেশিন বা পিওএস রাখা বাধ্যতামূলক করছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)।

যাত্রীদের অভিযোগ, চা-কফির মতো সাধারণ পানীয় বা খাবারও একই ট্রেনে অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রেনে অনেক সময়েই ভেন্ডর সংস্থার কাছে মেনু বা খাদ্য-তালিকা চাইলে মেলে না। কোন খাবারের দাম কত, তা-ও জানতে হয় মুখে মুখে। দাম মিটিয়ে পাকা রসিদ পাওয়া যায় না।

Advertisement

সমস্যা মেটাতে এপ্রিলে আরাবল্লি এক্সপ্রেস, তেলঙ্গানা এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদহ-অজমের এক্সপ্রেসে পাইলট প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে বিশেষ ব্যবস্থা চালু করে রেল। ওই তিনটি ট্রেনে বিশেষ ধরনের পিওএস যন্ত্রের বন্দোবস্ত হয়েছে। ওই যন্ত্রে প্রি-লোডেড মেনুতে খাবারের নাম ও দাম দেওয়া থাকে। সেই দাম ইচ্ছেমতো বদল করা যায় না। যাত্রীরা কার্ডে বা অনলাইনে দাম মেটাতে পারেন।

ওই পরিকল্পনায় সাফল্য আসায় চলতি সপ্তাহে আইআরসিটিসি রেলের সব জোন বা অঞ্চলকে নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে অন্তত ১০টি পিওএস মেশিন রাখতে হবে। যে-সব ভেন্ডর বা ঠিকা সংস্থা এই নির্দেশ মানবে না, তাদের চড়া হারে জরিমানা করতে বলা হয়েছে। জুনের মধ্যে এই ব্যবস্থা কতটা রূপায়ণ করা গেল, সব অঞ্চলের কাছে তার রিপোর্ট চেয়েছে আইআরসিটিসি। “অনলাইনে লেনদেন হলে তার পাকা রসিদ থাকবে। এতে পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে,” বলছেন আইআরসিটিসি-র পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানজার দেবাশিস চন্দ্র।

ন্যায্য দামে খাবার বিক্রির জন্য ইতিমধ্যেই হাওড়া-নয়াদিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেসে পিওএস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে রেলের খবর। ধাপে ধাপে অন্যান্য ট্রেনেও ওই নির্দেশ রূপায়ণ করার কথা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement