জোশীমঠের তুলনামূলক সুরক্ষিত এলাকায় বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। — ফাইল ছবি।
আবারও জোশীমঠের কিছু বাড়িতে নতুন করে ফাটল। এ বার আর পার্বত্য এলাকায় নয়। জোশীমঠের তুলনামূলক সুরক্ষিত এলাকায় বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। মাস কয়েক আগে জোশীমঠের পার্বত্য এলাকার বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। বহু মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হন।
জোশীমঠের গান্ধীনগরের বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই এলাকাটিকে ‘হলুদ এলাকা’ (ইয়েলো জোন) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। অর্থাৎ তুলনামূলক সুরক্ষিত স্থান। তার পরেও এই ঘটনায় উদ্বেগে বাসিন্দা থেকে প্রশাসন। মনে করা হচ্ছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বীরেন্দ্র লাল টামটা জানান, এর আগে যখন জোশীমঠের অন্য এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছিল, তখন তাঁদের এলাকায় ফাটল ধরেনি। এই প্রথম তাঁর বাড়িতে সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রশাসন এসে হলুদ স্টিকার সাঁটিয়ে গিয়েছে। ফাটলে নজর রাখার কথা জানিয়েছে।
গত জানুয়ারিতে জোশীমঠের সুনীল, মনোহর বাগ, রবিগ্রাম, সিঙ্গধার, মারওয়াড়ি এলাকার প্রায় ৫০০ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। ওই এলাকাকে ‘লাল এলাকা’ (রেড জোন) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সে সময় বাসিন্দারা ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁরা পুনর্বাসন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উত্তরাখণ্ডে হৃষীকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের ধারে রয়েছে জোশীমঠ। বদ্রীনাথ, আউলি যাওয়ার পথে এই শহরে থেকে বিশ্রাম নেন পর্যটকেরা। ভূতত্ত্ববিদেরা মনে করেন, প্রাচীনকালে ভূমিধ্বসের উপর এই শহর তৈরি হয়েছিল। তাই এর ভূমিরূপ স্থিতিশীল নয়। এর মধ্যে শহরে যথেচ্ছ নির্মাণের কারণে বিপদ বেড়েছে।