আবার তাপপ্রবাহের ভ্রুকুটি। বাড়ছে তাপমাত্রা। ছবি: পিটিআই।
আবার তাপপ্রবাহের ভ্রুকুটি। মৌসম ভবন জানিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ অংশে এ সপ্তাহ থেকেই তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে চলেছে। এর প্রভাবে কোনও কোনও রাজ্যে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে।
মৌসম ভবন আরও জানাচ্ছে যে, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যভারতের বহু জায়গায় তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছতে পারে এই সময়ে। দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে। আগামী পাঁচ দিনে দেশের বেশির ভাগ অংশে তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কিছু জেলায় ৯-১১ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকবে এই সময়ে। ফলে ত্বক জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো গরম অনুভূত হতে পারে।
অন্য দিকে, কোঙ্কণ অঞ্চলে এবং গোয়ায় ১০-১১ মে এবং ওড়িশায় ৯-১২ মে পর্যন্ত অসহ্য গরমের সঙ্গে গুমোট ভাবও বজায় থাকবে। যা অস্বস্তিকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। এপ্রিলের শুরু থেকে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এপ্রিলের প্রায় শেষ দিক পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় ছিল। সেই সময় দেশের বেশ কিছু রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির জন্য রাজ্যে রাজ্যে স্কুল-কলেজগুলিতে ছুটিও ঘোষণা করা হয়। কোনও কোনও জায়গায় আবার স্কুল-কলেজের সময় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গেও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির কারণে স্কুল-কলেজগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় ছিল।
তার পরই আবহাওয়ার একটু পরিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছিল। পর পর কয়েকটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে দেশের বিভিন্ন অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। যা গরম থেকে আপাত স্বস্তি দিয়েছিল উত্তর, পূর্ব এবং মধ্য ভারতকে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৪২ ডিগ্রি থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল। দেশের অন্যান্য প্রান্তেও তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি নেমে যায়। কিন্তু সেই পরিস্থিতি সাময়িক ছিল। আবার তাপপ্রবাহ ফিরতে পারে এমন পূর্বাভাসই দিয়েছিল মৌসম ভবন। ফলে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি মিললেও আবার পুড়তে চলেছে গোটা দেশ।
তবে দেশের বেশির ভাগ অংশে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি ফিরলেও উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট, বালটিস্তান, মুজফফরাবাদ এবং হিমাচলপ্রদেশ, পূর্ব মধ্যপ্রদেশ, মধ্য মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকলে সোমবার থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডেও ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
অন্য দিকে, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথে তুষারপাত হয়েছে। উত্তরকাশী, চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ এবং পিথোরাগড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।