সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
গত মাসে দায়িত্ব নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে জমে থাকা মামলার চাপ কমাতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত। মামলা তালিকাভুক্ত করা ও শুনানির বন্দোবস্তে কিছু পরিবর্তন এনেছেন তিনি। কিন্তু তা নিয়ে বিচারপতিদের একাংশই অসন্তোষ প্রকাশ করছেন বলে খবর। অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে কোনও মামলা শোনার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাচ্ছে না।
সিনিয়রিটির দিক থেকে সুপ্রিম কোর্টে এই মুহূর্তে তিন নম্বরে আছেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষণ কউল। গত ১৩ সেপ্টেম্বর একটি ফৌজদারি মামলার শুনানিতে নয়া বন্দোবস্ত নিয়ে স্পষ্টতই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তাঁর বেঞ্চ। ১৫ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ দিয়ে বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘নতুন ব্যবস্থায় এই মামলার মতো তালিকাভুক্ত মামলাগুলি শোনার জন্য যথেষ্ট সময় মিলছে না। কারণ, মধ্যাহ্নভোজ-পরবর্তী অর্ধেও প্রচুর মামলা শুনতে হচ্ছে।’’
নয়া মেকানিজ়মে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা দুই শিফটে মামলা শুনছেন। প্রতি সোম ও শুক্রবার ৩০ জন বিচারপতিকে নিয়ে গড়া দুই সদস্যের প্রতিটি বেঞ্চে নতুন জনস্বার্থ মামলা-সহ ৬০টিরও বেশি মামলার শুনানি হচ্ছে। মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার সকালে তিন বিচারপতির বেঞ্চগুলি দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা মামলা শুনছে বেলা ১টা পর্যন্ত। মধ্যাহ্নভোজের পরে ২টো থেকে বসছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। অন্য আদালতে মামলা সরানো, জনস্বার্থ মামলাগুলির আর্জি শোনার পরে নোটিস দেওয়া পুরনো মামলার শুনানি হচ্ছে ৪টে পর্যন্ত। সূত্রের দাবি, দু’ঘণ্টায় এমন ৩০টি মামলা শুনতে হলে প্রতিটির জন্য বড়জোর চার মিনিট সময় পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি সংখ্যাটা কুড়িতে নামিয়ে এনেছেন প্রধান বিচারপতি। তবু গত সপ্তাহে এমনই এক মামলার শুনানি স্থগিত করতে না চেয়ে একটি বেঞ্চের দুই বিচারপতি সন্ধ্যা অবধি কাজ করে মামলাটির ফাইল পড়েছেন। সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, গত ২৭ অগস্ট প্রধান বিচারপতি ললিত দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি মামলার নিষ্পত্তি করে ফেলেছে সর্বোচ্চ আদালত।