বিধান ভবনে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ছবি: পিটিআই।
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অনেকটাই সংযত তিনি। আক্রমণ বা কটাক্ষ নয়, সংযমী ঢঙে ইতস্তত না করেই উদ্ধব ঠাকরে রবিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেন, পূর্বসূরি দেবেন্দ্র ফডণবীসের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ওঁর সঙ্গে বরাবর যেমন বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল, তেমনই থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এ দিনই বিধানসভায় ছিল তাঁর প্রথম দিন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যের সরকার গঠন নিয়ে চরম রাজনৈতিক টানাপড়েন চলেছে। নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে অবশেষে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোট সরকার গড়েছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই ঘটনা মনে করিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপির নাম করে উদ্ধব বলেন, “আমি খুব ভাগ্যবান এক জন মুখ্যমন্ত্রী। যারা এত দিন আমার সঙ্গে ছিলেন, তাঁরাই এখন আমার বিরোধিতা করছে। অন্য দিকে, যারা বিরোধিতা করেছিলেন, এখন তাঁরাই আমার পাশে।” পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, “যা হয়েছে সবই আমার ভাগ্য আর মানুষের আশীর্বাদের কারণে। কাউকে কোনও দিন বলিনি মুখ্যমন্ত্রী হব, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হল।”
কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতেই প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে কি হিন্দুত্ববাদের রাস্তা থেকে সরে আসছে শিবসেনা? ধর্মনিরেপক্ষতার সঙ্গে কি আপস করলেন তারা? সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রশ্নের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে উদ্ধব বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে কী?’ সে দিন সুকৌশলে হিন্দুত্ববাদের প্রশ্নটি এড়িয়ে গেলেও রবিবার উদ্ধব বলেন, “আমি এখনও হিন্দুত্ববাদী আদর্শের সঙ্গেই রয়েছি। কখনওই এই আদর্শকে ছাড়ব না।” দেবেন্দ্র ফডণবীসের সরকারের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলেও এ দিন দাবি করেন উদ্ধব। বলেন, “গত পাঁচ বছরে সরকারের সঙ্গে কোনও বিশ্বাসঘাতকতা করিনি।” জনগণের স্বার্থেই তিনি কাজ করে যেতে চান বলে বিধানসভায় জানান উদ্ধব।
আরও পড়ুন: পিছু হঠল বিজেপি, মহারাষ্ট্রের স্পিকার হলেন নানা পাটোল
আরও পড়ুন: রাতেও সফল উৎক্ষেপণ পরমাণু অস্ত্রবাহী ‘অগ্নি-৩’ ক্ষেপণাস্ত্রের