গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
না, এর আগে এমনটা হয়নি ভারতে। কেন্দ্রের কোনও ক্যাবিনেট মন্ত্রী তাঁর দফতর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আর তা দেখে কার্যত শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। স্বজনকে আর হাতের কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা নেটিজেনদের বিঁধছে প্রতি মুহূর্তেই। তিনি সুষমা স্বরাজ। প্রথম মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রী হয়ে যিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভারতীয়দের কাছে হয়ে উঠেছিলেন নয়নের মণি। তাই নেটিজেনরা লিখেছেন, ‘‘আপনাকে মিস করব।’’
টুইটে সাবলীল, স্বচ্ছন্দ সুষমাই সরকারকে আক্ষরিক অর্থে পৌঁছে দিতে পেরেছিলেন আমজনতার হাতে। যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে টুইট করতে দ্বিধা করতেন না। কোনও সমস্যায় পড়ে গত ৫ বছরে যখনই বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে কোনও ভারতীয় টুইট করেছেন, আলোর গতিতে তার জবাব দিয়েছেন সুষমা। দাঁড়িয়ে গিয়েছেন পরিত্রাতার ভূমিকায়। বিপন্নের পাশে দাঁড়াতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি তাঁর। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কার্পণ্য করেননি কখনও।
নেটিজেনরা তাই এখন কার্যত অনাথ। তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন তাঁদের সব সময়ের শুভাকাঙ্খীকে, শুভানুধ্যায়ীকে।
With the big guys & little guys. As @SushmaSwaraj opts out of government, 2 unforgettable photos — with Obama & Bhutan’s Prince Jigme. pic.twitter.com/XRpc4BYkSh
Cabinet rank or not, doesn't matter - @SushmaSwaraj will always be known as the humble and empathetic minister of external affairs, that India was lucky to have in the last 5 years! https://t.co/nbmc3iZUcW
So it's now clear that @SushmaSwaraj won't be a minister in the Modi 2.0 government. Indians around the world will miss sending her messages on Twitter.
আরও পড়ুন- ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্যের নিন্দায় সুষমা, সব সীমা লঙ্ঘন করেছেন মমতা, হুঁশিয়ারি বিদেশমন্ত্রীর
আরও পড়ুন- ‘আত্মহত্যা করব?’ সুষমাকে টুইট আর এক ভারতীয়ের
২০১৪-র ২৬ মে প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সুষমা। তার পর পাঁচটি বছর ধরে তিনি স্বজন হয়ে পড়েছিলেন নেটিজেনদের। সেই কথাটা বেরিয়ে এসেছে একের পর এক নেটিজেনের টুইট থেকে।
ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে হত না, বিদেশমন্ত্রককে চিঠি দিতে হত না, বিদেশমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভারতীয়দের ঘাম ঝরাতে হত না, অনুমতির জন্য বিদেশমন্ত্রকের একের পর এক ঘেরাটোপ পেরতে হত না, প্রশ্নবাণের মোকাবিলা করতে হত না। কারণ, তিনি সুষমা স্বরাজ আমজনতার জন্য টুইটারে সব সময়েই ছিলেন ‘অ্যাভেলেব্ল’।