ফাইল চিত্র।
নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সিবিআইয়ের হাতে। গুজরাতের গোধরায় কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গুজরাত থেকে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গুজরাত আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি দাবি করেছে, বিহার, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু পরীক্ষার্থী এসেছিলেন। তাঁদের সকলকে পরীক্ষার উত্তরপত্রের জন্য গুজরাতি ভাষা বাছতে পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে অভিযুক্তেরা।
শুধু তাই-ই নয়, পরীক্ষার্থীদের স্থানীয় ঠিকানা হিসাবে পাঁচমহল কিংবা বরোদা লিখতে পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। সিবিআইয়ের দাবি, দু’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নফাঁসের কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। এই দুই পরীক্ষাকেন্দ্রকেই নিয়ন্ত্রণ করছিলেন প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতারা। ভিন্রাজ্য থেকে আসা ওই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবেও যোগাযোগ রেখেছিলেন অভিযুক্তেরা।
রাজ্যের যে দু’টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে একটি হল গোধরা জয় জালারাম স্কুল। সেই স্কুলের কর্ণধার দিক্ষীৎ পটেল-সহ পাঁচ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। গত ৩০ জুন গ্রেফতার হন পটেল। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে নিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মাসেই গুজরাত পুলিশের কাছ থেকে নিজেদের হাতে এই মামলা নেয় সিবিআই। আন্তরাজ্যে কী ভাবে এই দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে রয়েছে, কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই দাবি করেছে, ২০২৪ সালের সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-ইউজির কোনও প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েনি সমাজমাধ্যমে। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। তবে একেবারেই স্থানীয় স্তরে।