সবার সামনেই বদলাতে হয়েছে পোশাক, অভিযোগ মহিলা নিট পরীক্ষার্থীদের। ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় মেডিক্যাল পরীক্ষা (নিট)-র ‘অব্যবস্থা’ নিয়ে সরব হলেন মহিলা পরীক্ষার্থীদের একাংশ। অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সবার সামনেই পোশাক বদলাতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের। অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়েও। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুরুষ পরীক্ষার্থীদের সামনেই তাঁদের পোশাক বদলে ফেলতে বলা হয়। এমনকি কারও কারও অন্তর্বাস পরীক্ষা করে দেখারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে পরীক্ষক সংস্থা এনটিএ। তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মহারাষ্ট্রের সাংলি অঞ্চলে কস্তুরবাই ওয়ালচাঁদ কলেজে নিট পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে কিছু মহিলা পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পোশাকের ভিতর উত্তর লিখে নিয়ে আসার অভিযোগ ওঠে। তারপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ মহিলা পরীক্ষার্থীদের পোশাক বদলে ফেলার নির্দেশ দেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পরীক্ষার্থীদের কেউ কেউ পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া পোশাকবিধি মানেননি। আবার এ রাজ্যের বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রেও ছাত্রছাত্রীদের পোশাক বদলের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে জামাকাপড়ের দোকান না থাকায় অনেকে মহিলা অভিভাবকের সঙ্গে পোশাক বদল করেন। অভিযোগকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ, পোশাক বদলের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হয়নি।
গত ৭ মে প্রতি বছরের মতো এই বছরও নিট পরীক্ষার আয়োজন করেছিল সর্বভারতীয় সংস্থা এনটিএ। প্রায় ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেন। দেশের ৪৯৯টি কেন্দ্রে দেশের হবু চিকিৎসকদের এই লিখিত প্রবেশিকা পরীক্ষাটি হয়। আগেও নিট পরীক্ষায় বিস্তর কড়াকড়ির অভিযোগ তুলেছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ।