রাফাল বিতর্কের মধ্যেই প্রতিরক্ষায় ‘স্বনির্ভর’ হওয়ার দাওয়াই দিলেন মোহন ভাগবত। আর প্রায় একই যুক্তি তুলে আবারও প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন রাহুল গাঁধী।
ফেসবুক, টুইটারে রাহুল বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক দুর্নীতির সুবাদে বিশ্বের সেরা পাইলটরা ভারতে তৈরি নতুন বিমান পাচ্ছেন না। বরং তাঁদের এখন ফ্রান্সের বাতিল করা জাগুয়ার নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। ইউপিএ আমলে প্রায় হয়ে যাওয়া চুক্তিকে বাতিল করে অনিল অম্বানীকে সুবিধে পাইয়ে দিতে ফ্রান্সের সঙ্গে নতুন করে সমঝোতা করা হয়েছে। প্রাচীন জাগুয়ারের বদলে ১২৬টি নতুন রাফাল পাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার। নতুন সমঝোতার ফলে তারা ৩৬টি পাবে। আগে হ্যালের মাধ্যমে প্রযুক্তির হস্তান্তর হত। এখন সব ফ্রান্সে তৈরি হয়ে আসবে। আর আসতেও অনেক বছর লেগে যাবে।
কংগ্রেসের সভাপতি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এর ফলে পুরনো জাগুয়ার চালিয়ে পাইলটরা রোজ জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। এটি শুধু লজ্জাজনক নয়, এতে বিশ্বেও ভারতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।’’
রাহুল গাঁধী যে সুরে কথা বলছেন, ঘটনাচক্রে আজ নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে ঠিক একই ভাবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে বলেছেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তাঁর কথায়, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে যত ক্ষণ না স্বনির্ভর হচ্ছে ভারত, তত ক্ষণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যাবে না।
যদিও তাঁর যুক্তি, আন্তর্জাতিক বাজারে অস্ত্র বেচতে হলে কখনও কখনও অন্য দেশ থেকে অস্ত্র কিনতেও হয় তাদের প্রযুক্তি বোঝার জন্য। কেনাও অনেক সময়ে বাণিজ্যের কৌশল হয়। এই দেওয়া-নেওয়া
বন্ধ হওয়া উচিত নয়। কিন্তু সেটি হতে হবে নিজেদের শর্তে। নিরাপত্তার বিষয়ে অন্যের উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। অন্যের প্রযুক্তি নিয়ে দেশের ক্ষমতা বাড়াতে হবে।