ফাইল চিত্র।
বড় শরিক বিজেপি আগেই জানিয়েছে, তিনিই ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তবু নীতীশ কুমার গত কাল জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত হবে এনডিএ-র বৈঠকে। আজ নিজের সরকারির বাসভবনে এনডিএ শরিক চার দলের নেতাদের ঘরোয়া আলোচনার পরে নীতীশ জানালেন, জোটের নবনির্বাচিত বিধায়কদের বৈঠক হবে রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায়। এর আগে বিজেপির বিধায়কেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক সেরে নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জায়সওয়াল। নীতীশ আজ সন্ধেয় রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করে ইস্তফা দিয়ে এসেছেন।
এনডিএ-র ১২৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৭৪টি, জেডিইউয়ের চেয়ে ৩১ বেশি। ২০০৫ থেকে বেশির ভাগ সময় বিজেপির সুশীল মোদী উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকেছেন। এ বারে উত্তরপ্রদেশের মতো দু’জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। জল্পনায় রয়েছে কামেশ্বর চৌপলের নাম।
৭৫টি আসনে জিতে আরজেডি একক বৃহত্তম দল হলেও মহাজোট থমকেছে ১১০-এ। তেজস্বী যাদব কাল অভিযোগ তুলেছেন, এত পোস্টাল ভোট বাতিল হওয়ার কারণেই মহাজোটের হার হয়েছে। যদিও একটি কেন্দ্রের পোস্টাল ভোট পুনরায় গুনে নির্বাচন কমিশন আজ তেজস্বীর দাবি খারিজ করে দিয়েছে।
কমিশনের তথ্য বলছে, ১০টি কেন্দ্রে হারজিত নির্ণয় হয়েছে বৈধ ঘোষিত পোস্টাল ভোটের জোরে। একমাত্র হিলসা কেন্দ্রে হারের ব্যবধানের চেয়ে বাতিল হওয়া পোস্টাল ব্যালটের সংখ্যা বেশি। সেখানে মোট ৫৫১টি পোস্টাল ভোটের মধ্যে ১৮২টি বাতিল হয়েছে। আর জেডিউ প্রার্থী জিতেছেন ১২ ভোটে। বাতিল ও বৈধ, সব পোস্টাল ভোট ফের গোনার পরেও ফলে হেরফের ঘটেনি বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এচ আর শ্রীনিবাস। এই কেন্দ্রের আরজেডি প্রার্থী অত্রি মুনি ইভিএম ও পোস্টাল ভোট, উভয়েরই পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু ইভিএমের ভোট গোনার পরে দলীয় এজেন্টরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই যুক্তিতে মুনির প্রথম দাবি খারিজ করা হয়।
ভোট গোনা হয়ে যাওয়ার পরে ফল ঘোষণায় বিলম্ব নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তেজস্বী। জবাবে শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, প্রতি আসনে নির্বিচারে বেছে নেওয়া পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের ভিভিপ্যাট স্লিপ মেলাতে হয়েছে। এ ছাড়া যেখানে ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট ফল দেখায়নি, কিংবা পোলিং অফিসার মহড়ার ভোট মুছতে ভুলে গিয়েছেন, সে সব ক্ষেত্রে ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনা হয়েছে। এই কারণে ফল ঘোষণায় সময় লেগেছে।
কমিশনের তথ্য বলছে, ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১১টিতে হার-জিতের ব্যবধান ১০০০-এর কম। তার চারটিতে জিতেছে জেডিইউ, তিনটিতে আরজেডি, এবং বাকি চারটিতে জিতেছেন বিজেপি, সিপিআই, এলজেপি ও এক নির্দল প্রার্থী।