নতুন সংসদ ভবন। — ফাইল চিত্র।
সংসদের উচ্চকক্ষে আরও একটু শক্তিশালী হল বিজেপি এবং তার নেতৃত্বাধীন এনডিএ। চলতি মাসে সারা দেশের ৫৬টি রাজ্যসভার আসনে ভোট হয়েছে। ৩০টিতে জয়ী বিজেপি। তার পরেই রাজ্যসভায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল কেন্দ্রের শাসকদল। ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপির একারই আসন সংখ্যা হল ৯৭। এবং এনডিএর আসন সংখ্যা দাঁড়াল ১১৮।
ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যসভার ৫৬টি আসনে ভোট হয়েছে। তার মধ্যে ৪১টি আসনে প্রার্থীরা বিনা বাধায় জয়ী হয়েছেন। মঙ্গলবার তিন রাজ্যের ১৫টি আসনে ভোট হয়েছে। ক্রস ভোটিংয়ের কারণে নির্ধারিত আসনের বাইরেও অতিরিক্ত দু’টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশে একটি এবং উত্তরপ্রদেশে একটি। হিমাচলে কংগ্রেস বিধায়ক এবং উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বিধায়কদের ক্রস ভোটিংয়ের কারণে ওই দুই আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি।
২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১২৩টি আসন দখলে রাখতে হবে। বর্তমানে রাজ্যসভার পাঁচটি আসন ফাঁকা রয়েছে। তার মধ্যে চারটি জম্মু ও কাশ্মীরের। বাকি একটি ফাঁকা আসন মনোনীত সদস্যেরা। সে কারণে এখন রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ২৪০। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ১২১ আসন প্রয়োজন। লোকসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ। রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে বিল পাশ করানো সহজ হবে।
২০১৯ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় আটকে গিয়েছিল। যেমন ২০১৭ সালে ভূমি সংস্কার বিল, ২০১৮ সালে তিন তালাক বিল সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে রাজ্যসভায় আটকে গিয়েছিল। ভূমি সংস্কার বিল আর নতুন করে আনেনি মোদী সরকার। কিন্তু ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে জয়ের পর আবার তিন তালাক বিল এনেছে মোদী সরকার। ২০১৯ সালের পর ৩৭০ ধারা রদ, তিন তালাক বন্ধের মতো বিল লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাতেও পাশ করিয়েছে মোদী সরকার। নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সহায়তায়। এ বার সেই রাজ্যসভায় আরও শক্তিশালী হল বিজেপি।