জগদীপ ধনখড়। —ফাইল ছবি।
রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। তবে সেই প্রস্তাবকে খুব একটা আমল দিতে চাইছে না বিজেপি। তাদের দাবি, লোকসভা হোক বা রাজ্যসভা, সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারের এগিয়ে এনডিএ।
বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজেজু বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং তাদের জোট ক্রমাগত চেয়ারের (রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন) নির্দেশ অমান্য করে অন্যায় আচরণ করেছে। ধনখড় খুবই নম্র। তিনি সর্বদা কৃষক এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। আমরা তাঁকে সম্মান করি।’’ তার পরই তিনি যোগ করেছেন, ‘‘এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আমরা সকলেই চেয়ারপার্সনের প্রতি আস্থা রাখি।’’
মঙ্গলবার বিরোধী জোট ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ধনখড়ের বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ৬০ জন সাংসদের সই রয়েছে। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকের সাংসদেরা রয়েছেন তালিকায়। পাশাপাশি সই রয়েছে আরজেডি, জেএমএম, শিবসেনা (উদ্ধব), এনসিপি (শরদ)-সহ ‘ইন্ডিয়া’র সব শরিক দলের সাংসদের। ওই অনাস্থা প্রস্তাব রাজ্যসভার সচিবালয়ে জমা দেন তাঁরা। তৃণমূলের এক রাজ্যসভার সাংসদ জানান, বিরোধীরা সকলে মিলেই অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানান, ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। তিনি সংসদের কাজকর্ম পরিচালনায় বার বার পক্ষপাতিত্ব করেছেন।
নিয়ম অনুসারে রাজ্যসভার চেয়ারপার্সনের অপসারণের জন্য অনাস্থা প্রস্তাবটি প্রথমে রাজ্যসভায় পেশ করতে হবে। সেখানে সাংসদদের ভোটাভুটিতে ধনখড়ের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত প্রয়োজন। তার পর সেটি লোকসভায় পেশ হবে। সেখানেও একই ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ধনখড়ের বিরুদ্ধে মত প্রয়োজন। তবে রিজিজু স্পষ্ট করেন, সংখ্যার বিচারে এনডিএ এগিয়ে আছে। তাই কখনই সাংসদ-সংখ্যার বিচারে ‘ইন্ডিয়া’ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ মত তৈরি করতে পারবে না।